‘টি-টোয়েন্টি মানেই শুধু মেরে খেলা নয়’
টি-টোয়েন্টিতে তামিম ইকবালের ব্যাটিং ধরণ নিয়ে প্রায় সমালোচনা হয়। কথা হয় স্ট্রাইক রেট ও গড় নিয়েও। দীর্ঘদিন ধরে তামিম নিজেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই ফরম্যাট থেকে দূরে রেখেছেন। দলের খুব বেশি প্রয়োজন না হলে আর ফিরবেন না এই ফরম্যাটে।
একদিন আগে টি-টোয়েন্টি থেকে বিরতি নেওয়ার ঘোষণা দেন তামিম। কিন্তু বিরতির নেওয়ার পর বাঁহাতি এই ওপেনার দেখাচ্ছেন এই ফরম্যাটে নিজের সামর্থ্য কতটা? বিরতি নেওয়ার পরদিনই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঝড় তুলেছেন তামিম। তুলে নিয়েছেন বিপিএলে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। মাত্র ৬৪ বলে ১১১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন।
তামিমের ব্যাটে সিলেটকে হারিয়ে জয়ে ফিরেছে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা। ম্যাচ শেষে দলের জয়ের নায়ক জানালেন, এই ফরম্যাটে শুধু মেরেই খেলতে হবে, এমন কথা নেই।
এ ব্যাপারে তামিম বলেন, ‘১৭০ রানের লক্ষ্যে যদি দুই উইকেট হারিয়ে ফেলেন কিংবা ৯ ওভারে তাড়া করে জেতা সম্ভব নয়। নিজেকে সময় দিতে হবে এবং বল অনুযায়ী খেলতে হবে। আমরা ঠিক তাই করেছি। আর এভাবেই ম্যাচ জিতেছি।’
এরপর ব্যাট হাতে সমালোচনার জবাব দিয়ে তামিম বলেন, ‘নিজের স্কিল নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে যাওয়া উচিত। যদি কোনো দুর্বলতা থাকে সেটা নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করা উচিত। ক্রিকেটীয় শট খেলা উচিত। টি-টোয়েন্টি এমন নয় যে, প্রতিটি বলেই মারার চেষ্টা করতে হবে। নিজেকে শেপে রেখে শট খেলা উচিত। তাহলে সফল হওয়া যাবে।’
তামিম আরো বলেন, ‘একজন খেলোয়াড় ১১৬ করেছে, কিন্তু তারপরও ইনিংসে ১৭৫ রান পেয়েছে এবং আমি তাতে খুশি। শেষ দিকে ওভারে আমরা ৪ বা ৫ করে নিয়েছি। লক্ষ্যটা ২২০ রান হলেও হয়ত আমরা জিততে পারতাম। আমি জানতাম, যদি আমরা ভালো শুরু করি, আমাদের খুব ভালো সুযোগ আছে। সৌভাগ্যবশত আমি ও শাহজাদ অসাধারণ একটি শুরু পাই। এরপর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।’
গতকাল শুক্রবার সিলেটের বিপক্ষে ৯ উইকেটে জিতেছে তামিম-মাহমুদউল্লাহর ঢাকা। চার ম্যাচে এই নিয়ে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেল তারা। ৬৪ বলে ১১১ রানের ইনিংস উপহার দেন তামিম ইকবাল। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৭ বাউন্ডারি ও চার ছক্কা দিয়ে। একই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন সিলেটের ওপেনার সিমন্স। জোড়া সেঞ্চুরির ম্যাচে জয়ের হাসি হেসেছে ঢাকা।