টেস্ট ক্রিকেট থেকে মাহমুদউল্লাহর আনুষ্ঠানিক অবসর
গত জুলাইতে হঠাৎই মাহমুদউল্লাহর টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা আসে। সতীর্থরা এ ব্যাপারে জানালেও আনুষ্ঠানিকভাবে তখন কিছুই বলেননি এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। আজ বুধবার বিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, টেস্ট ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
এক বিবৃতিতে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘অনেক দিন ধরে খেলে আসা ফরম্যাটকে বিদায় বলা সহজ নয়। আমি সব সময় উন্নতি করার চেষ্টা করেছি, বিশ্বাস করি টেস্টকে বিদায় জানানোর জন্য এটাই সঠিক সময়। টেস্ট দলে ফিরতে সমর্থন দেওয়ার জন্য বিসিবি সভাপতিকে ধন্যবাদ জানাই। আমার সামর্থ্যের ওপর বিশ্বার রাখার জন্য সতীর্থদের ধন্যবাদ জানাই। বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারাটা দারুণ সম্মান ও সৌভাগ্যের।’
অবশ্য সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলে যাবেন বলে জানিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার, ‘টেস্ট থেকে অবসর নিলেও, আমি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলে যাব। দেশের জন্য সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’
গত জুলাইতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেন মাহমুদউল্লাহ। সে ম্যাচে অপরাজিত ১৫০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ক্যারিয়ারে ৫০টি টেস্ট খেলেছেন তিনি।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সফরে নিজের ৪৯তম টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। মাঝখানে দীর্ঘদিন টেস্ট দলের বাইরে ছিলেন তিনি। তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় গত জুলাইতে হুট করেই জিম্বাবুয়ে সফরের দলে ডাক পান তিনি। সুযোগ পেয়ে যোগ্য জবাব দেন। দলের চরম বিপর্যয়ে মাঠে নেমে তুলে নেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি।
এর পরই টেস্ট ক্রিকেট থেকে মাহমুদউল্লাহর অবসরের ঘোষণা আসে। হারারে টেস্টের পঞ্চম দিনে মাঠে নামার আগে সতীর্থরা তাঁকে গার্ড অব অনার দিয়েছিল। টেলিভিশন সম্প্রচারেও মাহমুদউল্লাহর অবসরের কথা নিশ্চিত করেছিলেন ধারাভাষ্যকাররা।
অবশ্য মাহমুদউল্লাহ তখন অনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের ঘোষণা দেননি। ড্রেসিংরুমে জানানো তাঁর এমন ইচ্ছার কথা বেরিয়ে আসে সংবাদমাধ্যমে। অনেকদিন পর এবার আনুষ্ঠানকিভাবে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি।
২০০৯ সালে কিংসটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল মাহমুদউল্লাহর। এরপর এক যুগে তিনি খেলেছেন ৫০ টেস্ট। তাতে ৩৩.৪৯ গড়ে করেছেন ২ হাজার ৯১৪ রান। আছে ৫ সেঞ্চুরি আর ১৬ ফিফটি।