ডমিঙ্গোর ব্যর্থতার পাল্লা ভারী, বললেন মাশরাফী
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সমালোচনা করেছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। এই তারকা পেসারের মতে, সাফল্যের চেয়ে রাসেল ডমিঙ্গোর ব্যর্থতার পাল্লাটাই বেশি ভারী। তাছাড়া ডমিঙ্গোর বিরুদ্ধে খেলোয়াড়দের অভিযোগ আছে বলেও দাবি করেন বাংলাদেশ দলের সাবেক এই সফল অধিনায়ক।
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে খেলতে আজ বৃহস্পতিবার অনুশীলন শুরু করেছেন মাশরাফী। এবার লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে খেলবেন তিনি।
অনুশীলন শেষে ডমিঙ্গোর প্রসঙ্গ উঠলে মাশরাফী বলেন, ‘সে (ডমিঙ্গো) কী কাজ করেছে, সেটা তো আমি জানি না। দল যখন সফল হবে অবশ্যই সেটা তার কৃতিত্ব। এটা খুব স্বাভাবিক ইস্যু। আমি তার সঙ্গে কাজ করিনি। তবে যত ম্যাচ আমরা হেরেছি সেই দায়টাও তাকে নিতে হবে। আমরা অনেক ম্যাচ এখানে (শেরেবাংলায়) হেরেছি, যেগুলো হারার কথা ছিল না। নিউজিল্যান্ডে যেটা জিতেছি, সেটা আমাদের জেতার কথা ছিল না। এরকমও আছে।’
মাশরাফী আরো বলেন, ‘দেখা যাক সামনে কতদূর থাকে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে, ব্যর্থতার পাল্লাটা ওর বেশি ভারি। কারণ বাংলাদেশ দল ওই সময়ের মধ্যে নেই যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। এখন বাংলাদেশের যারা দর্শক আছে, তারা সফলতা চায়। আপনারা ও ক্রিকেট বোর্ড সফলতা চায়। সেখানে নতুন কোচ এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জায়গা এটা না। বাংলাদেশ ক্রিকেটের এখন পারফরম্যান্স করার সময়। ওয়ানডে ক্রিকেটে কিন্তু সব মিলিয়ে ৬-৭ বছর ভালো পারফর্ম করে আসছে। অন্য ফরম্যাটগুলোতেও কিন্তু একই অবস্থা। আমরা ঘরের মাঠে যেসব ম্যাচ হেরেছি, শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, আফগানিস্তানের সঙ্গে টেস্ট ম্যাচ অনেক কিছুই আছে। আমি মনে করি এখন পর্যন্ত ওর পারফরম্যান্স খারাপের দিকেই বেশি। দেখা যাক দক্ষিণ আফ্রিকায় যদি অসাধারণ কিছু করে আসে, ওর সংস্কৃতি, ও পরিবেশ জানে, উইকেট সম্পর্কে ভালো ধারণা। আশা করছি ও একটা বড় ভূমিকা পালন করবে। সেটা করতে পারলে খুবই ভালো হবে।’
ডমিঙ্গোর বিরুদ্ধে ক্রিকেটারদের অভিযোগ মাশরাফী বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, তাকে নিয়ে খেলোয়াড়দের অভিযোগ আছে। প্রথম যে বিষয়, সেটা হচ্ছে আপনার ড্রেসিংরুমে খুশি থাকা। সেটা যদি থেকে থাকে তাহলে ভালো। আমার কাছে সেটা (ড্রেসিংরুম খুশি) মনে হয়নি। এজন্য খোলা মনে বললাম এটা। রাসেল ডমিঙ্গোর বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাফল্যের পাল্লা বেশি ভারি নয়। যেটা স্টিভ রোডস বাদ যাওয়ার পরও তার ছিল। একেক কোচের কাছে একেক রকম। বিসিবি যদি তাকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে তাহলে খুব ভালো। এটা বিসিবির সিদ্ধান্ত।’