ডিপিএলে মোহামেডানের টানা তৃতীয় জয়
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে টানা তৃতীয় জয়ের দেখা পেল মোহামেডান। আজ শনিবার (৮ এপ্রিল) বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে অনুষ্ঠিত হয় মোহামেডান ও সিটি ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচটি। ইমরুল কায়েসের অসাধারণ সেঞ্চুরিতে সিটি ক্লাবকে ১০১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে মোহামেডান।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মোহামেডান তোলে ৩৪৮ রানের বিশাল সংগ্রহ। জবাব দিতে নেমে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪৭ রানের বেশি করতে পারেনি সিটি ক্লাব।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টানা চার দিন টেস্ট খেলার ক্লান্তি শেষ না হতেই আজ মোহামেডানের হয়ে খেলতে নামেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্যাট হাতে সাকিব খেলেন ১৬ বলে ২৬ রানের ইনিংস। মিরাজ করেন ৮ বলে ৬ রান।
এর আগে ওপেনিংয়ে নামা রনি তালুকদারকে (১১) দলীয় ১৯ রানে ফেরান আসিফ হাসান। দ্রুত ফিরে যান সৌম্য সরকারও (১৩)। এরপর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে দলের হাল ধরেন ইমরুল কায়েস। দুজনে গড়েন ১২১ রানের জুটি। ৫৯ বলে ৭১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে রাফসান রহমানের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ। মাহমুদুল্লাহ আউট হলে মাহিদুল ইসলামের সঙ্গে ৭৯ রানের আরেকটি জুটি দাঁড় করান ইমরুল কায়েস। ৫২ বলে ৬৫ রান করা মাহিদুলকেও ফেরান রাফসান। পরবর্তীতে সাকিবও শিকার হন রাফসানের।
পরপর দুজনের সঙ্গে দুটি বড় জুটি গড়া ইমরুল কায়েস খেলেন ১২১ বলে ১১৪ রানের ঝলমলে একটি ইনিংস। মোহামেডান অধিনায়কের লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের ১২তম শতকটি সাজানো ছিল ১০ চার ও ৩ টি ছয়ের মারে। ম্যাচের শেষ দিকে রিটায়ার্ড আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন কায়েস। দুই অর্ধশতক ও একটি শতকে ভর দিয়ে মোহামেডান পায় ৩৪৮ রানের শক্ত ভিত। সিটি ক্লাবের পক্ষে ৩ উইকেট পান রাফসান রহমান, ২টি উইকেট নেন আসিফ হাসান।
৩৪৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় সিটি ক্লাব। জয়রাজ শেখকে (১০) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। স্কোরবোর্ডে ৮৫ রান জমা হতেই সিটি ক্লাব হারায় ৪ ব্যাটারকে। আব্দুল্লাহ আল মামুন (৭০) ও অধিনায়ক আসিফ আহমেদ রাতুল (৫২) চেষ্টা করেন প্রতিরোধ গড়তে। তবে তা যথেষ্ট হয়নি। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ২৪৭ রানে থামে সিটি ক্লাবের ইনিংস। মোহামেডানের হয়ে ৩ উইকেট পান জ্যাক লিনটট। সাকিব ও মিরাজ পান ১টি করে উইকেট। উইকেট কম পেলেও বল হাতে মিতব্যয়ী ছিলেন দুজনই। ১০ ওভারে ২ মেডেনসহ ২৯ রান দেন মিরাজ, সাকিব ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ দেন ৩৬ রান।
এতে, ব্যাট-বল হাতে দলের সবার সম্মিলিত ছন্দ মোহামেডানকে এনে দেয় ১০১ রানের বড় জয়ের স্বাদ।