ডোনাল্ডের ছোঁয়ায় নিজেদের খুঁজে পাচ্ছেন পেসাররা
বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণ অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ধারাল, তা একবাক্যে মানবে সবাই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ কিংবা আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে, বাংলাদেশের পেসাররা আগুন ঝরিয়েছেন মাঠে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার এক ইনিংসে প্রতিপক্ষের ইনিংসের সবকটি উইকেট নিয়েছে বাংলাদেশের পেসাররা। আগামীকাল সোমবার (২৭ মার্চ) থেকে আইরিশদের বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজেও আলাদা নজর থাকবে মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদদের ওপর।
পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের ছোঁয়ায় নিজেদের বদলে যাচ্ছে বাংলদেশ। নিজেদের পরিবর্তন নিয়ে কাজ করছে পেসাররা। বাংলাদেশের পেস আক্রমণে ডোনাল্ড পাখির চোখ করেছেন মুস্তাফিজ-তাসকিনদের মতো অভিজ্ঞদের পাশাপাশি তিন তরুণ–এবাদত হোসেন, হাসান মাহমুদ, শরীফুল ইসলামের ওপর। কাজ করছেন এই পেসারদের শক্তি-দুর্বলতা নিয়ে।
আজ রোববার (২৬ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে দেখা মিলল তপ্ত দুপুরে শিষ্যদের নিয়ে অনুশীলনে একনিষ্ঠ ডোনাল্ডকে। সবাইকে সমান গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। তাই তো ২০২৩ সালে এখনও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে না চাপানো শরীফুলও খুঁজে পাচ্ছেন লাইন লেন্থ। ইয়র্কার সেশনে বাকিদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিয়েছেন সেরা ডেলিভারি।
টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি; তিন ফরম্যাটের জন্যই ডোনাল্ড তৈরি করছেন বাংলার গতিদানবদের। মুস্তাফিজুর রহমান হারিয়ে গেছেন বলে যে রব উঠতে শুরু করেছিল, তা অনেকটাই কমেছে এখন। তাসকিন-এবাদত-হাসানরা তো আছেন দারুণ ছন্দে।
পেসারদের হতে হয় মানসিকভাবে সবল। শরীরি ভাষায় থাকতে হয় আক্রমণের ঝাঁঝ। দেরিতে হলেও যেন কক্ষপথে ফিরছে বাংলার পেসাররা। গুরু ডোনাল্ডকে দিচ্ছেন আস্থার প্রতিদান নামক গুরুদক্ষিণা। যাতে বাড়ছে বাংলাদেশ দলের শক্তির জায়গা।