ডোপ টেস্টে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি পেসার
বাংলাদেশি পেসার শহিদুল ইসলামকে আইসিসির অ্যান্টি-ডোপিং কোডের ধারা ২.১ লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাই সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দশ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাঁকে।
২৮ মে থেকে শহিদুলের শাস্তি শুরু হবে। ২৮ মার্চ ২০২৩ সাল পর্যন্ত চলবে এই শাস্তি। শহিদুল টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
এ ব্যাপারে আইসিসি জানিয়েছে, ‘শহীদুল শাস্তি মেনে নিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে ডোপিং বিরোধী নিয়মের কারণে তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।’
অবশ্য শহীদুল ইচ্ছাকৃতভাবে এই ওষুধ সেবন করেননি। একটি অসুখের কারণে বৈধভাবে দেওয়া ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী একটি ওষুধটি সেবন করেন। সেটিতে ছিল ক্লোমিফিন। তাই শহীদুলের কোনো দোষ খুঁজে পায়নি আইসিসি।
নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজে বাংলাদেশের দলে ছিলেন শহিদুল। কিন্তু কোনো ম্যাচ খেলেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের বাংলাদেশ টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডেও তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, কিন্তু সাইড স্ট্রেন ইনজুরির কারণে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী ক্রিকবাজকে বলেছেন ‘তিনি ব্যক্তিগত কারণে ওষুধ খেয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের সাথে সঠিকভাবে যোগাযোগ করেননি। পরে দেখা গেছে যে তিনি আইসিসি অ্যান্টি ডোপিং কোড অব কন্ডাক্ট লঙ্ঘনের জন্য দোষী হয়েছেন। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে এটি করেননি এবং সেই কারণেই তাকে মাত্র ১০ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। তা না হলে সময় আরও বেশি হতে পারত।’