তামিমদের বিপদ বাড়িয়ে প্লে-অফে চট্টগ্রাম
টানা ব্যর্থতায় আগেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে সিলেট সানরাইজার্সের। চট্টগ্রামের বিপক্ষে আজকের ম্যাচটি ছিল তাদের স্রেফ নিয়ম রক্ষার। এই ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করেও চট্টগ্রামকে থামাতে পারেনি সিলেট। কঠিন লক্ষ্য টপকে চলমান বিপিএলের প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
বিপিএলে আজ শনিবার চার উইকেটে জিতেছে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের এই জয়ে বিপদ বাড়ল ঢাকার। এই ম্যাচে চট্টগ্রাম হারলে প্লে-অফ নিশ্চিত হতো ঢাকার। কিন্তু সেটা হলো না। অবশ্য তামিমদের আশা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আজ দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা হারলেই প্লে-অফে যেতে পারবে ঢাকা। খুলনা জিতলে বিদায় নিতে হবে মাহমুদউল্লাহদের।
আজ শনিবার রাউন্ড রবিন লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে চট্টগ্রামের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮৫ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে সিলেট।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত শুরু করে সিলেট। উদ্বোধনী জুটিতে ৪.৫ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৪১ রান তোলে সিলেটের দুই ওপেনার কলিন ইনগ্রাম ও এনামুল হক বিজয়।
জমে ওঠা এই জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৯ বলে ২৪ রান করা ইনগ্রামকে বোল্ড করেন এই অফ স্পিনার। পরের ওভারে মিজানুর রহমানকে ফাঁদে ফেলেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
দুই উইকেট হারানো ধাক্কা সামলে সিমন্সকে নিয়ে লড়াই করেন এনামুল। ১৩তম ওভারে দুজনকেই ফেরান মৃত্যুঞ্জয়। বোলিংয়ে এসে প্রথমে এনামুলকে আউট করেন তিনি। ২৫ বলে ২৯ করে ফেরেন সিলেটের ওপেনার। এরপর একই ওভারে সিমন্স নিজের তৃতীয় শিকার বানান মৃত্যুঞ্জয়। ২৮ বল খেলে ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংস উপহার দেন সিমন্স।
এনামুল-সিমন্স ফিরলে শেষ দিকে রবি বোপারা ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ব্যাটে বড় পুঁজি পায় সিলেট। ২১ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন বোপারা। তাঁর সঙ্গে ২২ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন সৈকত।
চট্টগ্রামের হয়ে বল হাতে মৃত্যুঞ্জয় নিয়েছেন ৩ উইকেট। তাঁর সঙ্গে মিরাজ ও শরিফুল ইসলামের শিকার একটি করে উইকেট।
১৮৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেম ৫ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৯১ রান করেন উইল জ্যাকস। ৫৭ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল ৮ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কা। চ্যাডউইক ওয়ালটন করেন ৩৫ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
সিলেট সানরাইজার্স : ২০ ওভারে ১৮৫/৫ ( এনগ্রাম ২৪, এনামুল ৩২, মিজানুর ০, সিমন্স ৪২, রবি বোপারা ৪৪, সৈকত ৩৫, বাবু ২ ; শরিফুল ৪-০-৪১-১, নাসুম ৪-০-২৭-০, মিরাজ ৪-০-৩৬-১, মৃত্যুঞ্জয় ৪-০-৩৭-৩, হাওয়েল ৪-০-৪৭-০)।
চট্টগ্রারম চ্যালেঞ্জার্স : ১৯.১ ওভারে ১৮৮/৬ (জ্যাকস ৯১, জাকির ১৭, আফিফ ৭, ওয়ালটন ৩৫, হাওয়েল ৮, শামীম ২১, মিরাজ ২, আকবর ২; সিমন্স, ৪-০-৩২-১, বোপারা ৪-০-৩৬-০, জুবায়ের ৩-০-৩৫-০, স্বাধীন ২-০-৩০-০, সোহাগ গাজী ৩-০-২১-২)।
ফল : চার উইকেটে জয়ী চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।