তিন হাফসেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের লড়াই
তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আজ সোমবার (৬ মার্চ) ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। ইংলিশদের বিপক্ষে ম্যাচটিতে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। তবে শুরুর চাপ সামলে শেষ পর্যন্ত সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেনের শান্তর হাফসেঞ্চুরিতে কোনোমতে ইংল্যান্ডকে ২৪৭ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ দলীয় ১৭ রানেই হারিয়ে ফেলেছে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাসকে। লিটন দাস আজও ফিরেছেন শূন্যতে। তামিম বিদায় নিয়েছেন ১১ রানে। দুজনের উইকেটই নিয়েছেন স্যাম কারান। সাগরিকায় জোড়ায় ধাক্কা খেয়ে ইংলিশদের গতি সামলাতে হিমসিম খায় তামিম ইকবালের দল।
থিতু হয়ে রানআউট হয়ে বিদায় নেন নাজমুল হোসেন শান্তও। এরপর ৭০ রানে বিদায় নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। টিকতে পারেননি মাহমুদউল্লাহও। ইংলিশ বোলারদের দাপটে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তবে সাকিব উইকেটে থিতু হয়ে দলকে শেষ দিকে টানেন। তাঁর ব্যাটে চড়ে শেষ পর্যন্ত দলীয় রান আড়াইশর কাছাকাছি যায় বাংলাদেশ। ৪৮.৫ ওভারে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ২৪৬ রান। সাকিব করেন ৭৫ রান।
এই ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে একটি পরিবর্তন এসেছে। একাদশে ঢুকেছেন পেসার ইবাদত হোসেন। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে তাসকিন আহমেদকে। এ ছাড়া বাকি দল আগের মতোই আছে।
সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচে জিতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ইংল্যান্ড। এবার তৃতীয় ওয়ানডে জিতলেই বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ নিতে পারবে জস বাটলারের দল।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই চলতি বছরের প্রথম আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। ‘হোম অব ক্রিকেট’ গ্রাউন্ডে অন্যদের ওপর দাপট দেখাতে পারলেও ইংল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না বাংলাদেশ। এক ম্যাচে ডেভিড মালান তো অন্য ম্যাচে জস বাটলার। দুজন মিলে দুই সেঞ্চুরিতে হতাশায় ডোবালেন বাংলাদেশকে।
এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ৬ বছর আগে সিরিজে হেরেছিল বাংলাদেশ। হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল তারও আগে। দেশের মাটিতে সবশেষ ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের সবকটি ওয়ানডে হেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর এবারেরটাসহ ১৬ সিরিজের তিনটিতে হারলেও কোনোবার হোয়াইটওয়াশড হয়নি লাল-সবুজের দল। এবার সেই শঙ্কাই উঁকি দিচ্ছে। আজ ইংল্যান্ডের কাছে হারলে ৯ বছর পর এই লজ্জায় ডুবতে হবে বাংলাদেশকে।