তুরস্কের ধ্বংসস্তূপে ১৩ দিন পর মিলল ফুটবলার আতসুর মরদেহ
সিরিয়া ও তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৪৫ হাজারের বেশি। এই মৃত্যুর মিছিলে যুক্ত হলো আরও একটি নাম। তিনি চেলসি, এভারটন, নিউক্যাসল ইউনাইটেডের মতো প্রতিষ্ঠিত ক্লাবে খেলা ঘানার ফুটবলার ক্রিস্টিয়ান আতসু। ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৩ দিন উদ্ধার করা হলো তার মরদেহ।
আজ শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিট্রিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুসারে, আতসু ওই ভবনে থাকতেন। উদ্ধারকর্মীরা ভবনটির ধ্বংসস্তূপ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার এজেন্ট মুরাত উজুনমেহমেত।
মুরাত জানান, ‘অনেক খোঁজাখুজির পর আতসুকে পাওয়া গেছে। তবে, সে আর বেঁচে নেই। সে ভূমিকম্পের আগে নিজের দেশের যাওয়ার কথা আমাকে বলেছিল। তবে, কিছুই হলো না। এক মুহূর্তেই সব শেষ।’
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি আতসুকে জীবিত উদ্ধারের খবর দিয়ে বিশ্বের শীর্ষ কিছু গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে জানানো হয়, ধ্বংস্তূপের নিচে আটকে থাকা ফুটবলার আতসুকে জীবিত উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকর্মীরা। এরপরই চিকিৎসার জন্যে আতসুকে নেওয়া হয়েছে হাসপাতালে। এমনকি, ধ্বংস্তূপের নিচে চাপা পড়ার কারণে তার ডান পায়ে চোট লেগেছে বলেও জানানো হয় ওই প্রতিবেদনে। বলা হয়—তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। যদিও পরবর্তীতে আতসুর খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয়। এতে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হলে তাকে খুঁজতে আবারও শুরু হয় উদ্ধার অভিযান।
৩১ বছর বয়সী ঘানার এই ফুটবলার তুরস্কের যে ভবনে ছিলেন সেটি সাত দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর ভেঙে পড়ে। দলের বাকি সদস্যদের খোঁজ মিললেও, নিখোঁজ ছিলেন আতসু।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানায়, রিখটার স্কেলে সাত দশমিক ৮ মাত্রার এই ভূমিকম্প স্থানীয় সময় গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিনরাত ৪টা ১৭ মিনিটে আঘাত করে। তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ শহরের কাছে ছিল ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল আর এর গভীরতা ছিল ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার। ওই এলাকা জুড়ে তৈরি হওয়া ভূকম্পন রাজধানী আঙ্কারা এবং তুরস্কের অন্যান্য শহর থেকেও অনুভূত হয়।