তৃতীয় দিনের লড়াইয়ে বাংলাদেশ-ভারত
ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনের লড়াইয়ে নেমেছে বাংলাদেশ-ভারত। আজ শনিবার তৃতীয় দিনে দুদলই চ্যালেঞ্জের মুখে। লড়াই জমিয়ে রাখতে বাংলাদেশের দরকার ভারতের লিড দ্রুত টপকে শক্ত পুঁজি গড়া। অন্যদিনে ভারতের দরকার দ্রুত বাংলাদেশকে অলআউট করা।
গতকাল শুক্রবার তৃতীয় সেশনে এসে ৩১৪ রানে থামে ভারত। অতিথিরা লিড পায় ৮৭ রানের। এই লিডের জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে ৭ রানে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। শেষ ভাগে মাঠে নেমে দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান থাকেন অবিচ্ছিন্ন। তাতে লড়াইয়ে টিকে থাকে বাংলাদেশ।
৮০ রানে পিছিয়ে থেকে আজ টেস্টের তৃতীয় দিন শুরু করেছে বাংলাদেশ। ভারতের লিড টপকে বড় সংগ্রহ পাওয়াই আজ মূল লক্ষ্য স্বাগতিকদের।
গতকাল শুক্রবার তাইজুল ইসলামের বোলিং দাপটে প্রথম সেশনে মোটামুটি ভালোই কাটে বাংলাদেশের, কিন্তু দ্বিতীয় সেশন হয় তার উল্টো। বরং উইকেটে থিতু হয়ে দাপট দেখান শ্রেয়াস আইয়ার ও পন্থ। এই জুটিতে হতাশ করে বাংলাদেশকে।
তবে শেষ পর্যন্ত সাকিব-তাইজুল মিলে সেই হতাশা দূর করেন। পন্থকে সেঞ্চুরি থেকে ৭ রান দূরে রেখে থামান মিরাজ। ১০৪ বলে ৯৩ রান করে ফেরেন পন্থ। বাকিটা সামাল দেন সাকিব।
থিতু হয়ে যাওয়া শ্রেয়াসকে এলবির ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১০৭ বলে ৮৭ রান করে বিদায় নেন শ্রেয়াস। এরপর সাকিব তুলে নেন অক্ষর প্যাটেল, অশ্বিন ও সিরাজকে।
উনাদকাটকে ফেরান তাইজুল। তার আগে প্রথম সেশনে তাইজুল নেন তিন উইকেট। দুই স্পিনার মিলে বাংলাদেশকে খেলায় রাখেন। সাকিব-তাইজুল দুজনেই সমান ৪ টি করে উইকেট নেন।
ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য ছিল ভারতকে দ্রুত অলআউট করা। সেই লক্ষ্যে পুরোপুরি সফল না হলেও ভারতকে বড় লিড নিতে দেয়নি বাংলাদেশ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা টেস্টের প্রথম দিন আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেন মুমিনুল হক। বাকিদের ব্যর্থতায় বেশিদূর এগোতে পারেনি সাকিব আল হাসানের দল।
১৯ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা ভারত আজ দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষে ৮৬ রানে ৩ উইকেট হারায়। দিনের শুরুতে লোকেশ রাহুল, শুভমান গিল দুইজনকেই লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তাইজুল ইসলাম। এরপর চেতেশ্বর পুজারাকে ফেরান তিনি। বিরতির পর ভারত হারায় বিরাট কোহলিকে। ২৪ রান করে বিদায় নিয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক।
পিছিয়ে থেকে লাঞ্চের পর ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। মূলত এই সেশনেই প্রতিরোধ গড়ে সফরকারীরা। দ্বিতীয় সেশন শেষে তাদের রান দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ২২৬। কিন্তু তৃতীয় সেশনে এসে ভারতকে থামিয়ে দেয় বাংলাদেশ।