দুঃসময়ে মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে খুশি নেইমার
করোনার ধাক্কায় কঠিন সময় পার করছে ব্রাজিল। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ব্রাজিলে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের হার বেশি। দেশটিতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। এর মধ্যেই দেশটিতে বসেছে লাতিন আমেরিকান ফুটবলের অন্যতম আসর কোপা আমেরিকা। ঘরের মাঠে টুর্নামেন্টটিতে দারুণ জয় উপহার দিয়ে যাচ্ছে স্বাগতিকেরা।
করোনার এই দুঃসময়ে ভক্তদের জয় উপহার দিতে পেরে খুশি ব্রাজিল সুপারস্টার নেইমার। আজ শুক্রবার পেরুর বিপক্ষে ম্যাচ শেষে নিজের তৃপ্তির কথা শোনালেন পিএসজি তারকা।
রিও ডি জেনিরোর নিল্তন সান্তোস স্টেডিয়ামে 'এ' গ্রুপের ম্যাচে পেরুকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ব্রাজিল। এর আগের ম্যাচে ভেনেজুয়েলাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল দলটি। দুই ম্যাচেই গোল করেছেন নেইমার। এ ছাড়া সতীর্থদের গোলেও অবদান রেখেছেন তিনি।
ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমকে ব্রাজিল তারকা বলেন, ‘এখন আমরা খুব অস্বস্তিকর সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। শুধু ব্রাজিলে নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই কঠিন সময়। এমন সময়ে কাউকে প্রেরণা জোগাতে পারা, সবাইকে খুশি করতে পারা দারুণ তৃপ্তির।’
আজ পেরুর বিপক্ষে গোল করে নিজ দেশের কিংবদন্তি পেলের ইতিহাসের পথে আরেকটু এগিয়ে গেলেন নেইমার। আজ ব্রাজিলের জার্সিতে ৬৮তম গোল করলেন নেইমার। আর মাত্র ৯টি গোল করলেই দেশের হয়ে সর্বাদিক গোল করা পেলেকে স্পর্শ করবেন তিনি। দেশের হয়ে পেলে করেছেন ৭৭টি গোল। ব্রাজিল কিংবদন্তির রেকর্ডের পথে ছুটতে থাকা নেইমার আজ পেরুর বিপক্ষে ম্যাচ শেষে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন।
দেশের জার্সিতে খেলতে পারবেন বা এতদূর আসতে পারবেন সেটা কল্পনাও করেননি নেইমার। তিনি বলেন, ‘ব্রাজিল দলের ইতিহাসের অংশ হতে পারাটা অবশ্যই আমার জন্য দারুণ সম্মানের। পুরোপুরি সত্যি বলতে, আমার স্বপ্ন ছিল কেবল ব্রাজিলের হয়ে খেলা, এই জার্সি গায়ে চাপানো। কখনও কল্পনাও করতে পারিনি এতটা দূর পৌঁছতে পারব। আমার জন্য এটি খুবই আবেগময়। গত দুই বছরে অনেক কিছুর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে আমাকে। অনেক কঠিন ও জটিল সব বিষয়। কিন্তু আমার দেশ ও পরিবারের প্রতিনিধিত্ব করে যে খুশি আমি পাই, সেসবের তুলনায় এসব পরিসংখ্যান কিছুই নয়।’