দুই আনন্দে গর্বিত তাসকিন
এমন একটি দিনের জন্যই এত বছর অপেক্ষা করেছেন তাসকিন আহমেদ। একটি সিরিজ জয়, অন্যটি হলো নিজের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স। আজ প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে প্রথমবার ‘ম্যান অব দ্য সিরিজ’ হয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। দুই আনন্দে খুব গর্বিত বাংলাদেশি এই তারকা পেসার।
একটি নয়, দুটি নয়, আটটি বছর! সেই ২০১৪ সালে অভিষেক ম্যাচের পর আজ সেঞ্চুরিয়নে বোলিংয়ে পাঁচ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন তাসকিন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আজ পাঁচ উইকেট নিতে তাসকিন খরচ করেছেন মাত্র ৩৫ রান। বাংলাদেশ জিতেছে ৯ উইকেটে। সঙ্গে সিরিজও এসেছে লাল-সবুজ দলের ঘরের। এক সঙ্গে দুই আনন্দ পেয়ে খুশিতে আত্মহারা তাসকিন।
ম্যাচ ও সিরিজ সেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে তাসকিন বলেন, ‘আমি খুব খুশি ও গর্বও অনুভব করছি। দক্ষিণ আফ্রিকায় আমরা এই প্রথম সিরিজ জিতলাম। এই প্রথম আমি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ম্যান অব দ্য সিরিজ হলাম। আমি খুব গর্বিত ও খুশি।’
নিজের এমন বোলিংয়ের জন্য অধিনায়ক তামিম ইকবালকেও কৃতিত্ব দিলেন তাসকিন, ‘প্রতি ম্যাচে আমাকে অধিনায়ক সমর্থন জুগিয়ে গেছেন। আমাকে সাধারণ একটা দায়িত্ব দিয়েছেন, পরিষ্কারভাবে সেই দায়িত্বের কথা বলেও দিয়েছেন। গতি থাকতে হবে এবং আক্রমণাত্মক হতে হবে। একই সঙ্গে অধিনায়ক বলেছেন, উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আমি সেটাই অনুসরণ করেছি।’
চোট আর ফর্ম খরায় একটা সময় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন তাসকিন। দল থেকে যখন ছিটকে পড়েন তখন এই পরিশ্রমের মধ্যেই নিজেকে খুঁজে নেন তিনি। নিজেকে বদলে জন্ম দেন আরেক পরিণত বোলারে। তাঁর বলের গতি আর দক্ষতার সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে পরিণত ক্রিকেট-মস্তিষ্ক। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ দলের বোলিং ইউনিটের প্রাণ ভোমরা হয়ে উঠেছেন তাসকিন।
নিজের সফলতা ও পরবর্তী লক্ষ্য নিয়ে তাসকিন বলেন, ‘আসলে গত দেড় বছর ধরে আমি একই প্রক্রিয়া মেনে চলেছি। আজকেও একই রকম মানসিকতা নিয়ে এসেছি। আজ ভালোভাবে সেটা কাজে লাগাতে পেরেছি, সফলও হয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও ভালো করতে পারব। আমার এখনও শিখতে হবে, ব্যাটিং সহায়ক আর ধীরগতির উইকেটে কীভাবে পাঁচ উইকেট নিতে হয়! এটাই আমার পরবর্তী লক্ষ্য।’