দুই দিনেই টেস্ট জিতে ইতিহাস গড়ল ভারত
পুরোপুরি দুদিনও নয়, দেড় দিনেই ম্যাচ জিতে গেল ভারত। পাঁচদিনের টেস্ট মাত্র দুদিনে জিতে ইতিহাস গড়ল বিরাট কোহলির ভারত। ভারতের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য ছিল মাত্র ৪৯ রান। কোনো উইকেট না হারিয়েই তারা জয় তুলে নেয়।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে সাবলীল ৬৬ করে ছিলেন রোহিত শর্মা। দ্বিতীয় ইনিংসেও ওয়ানডের মেজাজে ব্যাট করে তিনি করেছেন ২৫ রান। শুভমান গিল ১৫ এবং রোহিত শর্মা ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
তবে ভারতের দুর্দান্ত জয়ের নায়ক ব্যক্তিগত দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা অক্ষর প্যাটেল। দুই ইনিংস মিলে ১১ উইকেট তুলে নেন এই তরুণ স্পিনার। ম্যান অব দ্য ম্যাচও হন তিনি।
প্রথম দিনের মতো এদিনও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে উজ্জ্বল ছিলেন অক্ষর। গুড লেস্থে বল করে সফরকারী দলের ব্যাটসম্যানদের একেবারেই নাকানি চুবানি খাইয়েছেন তিনি। দারুণ বল করেছেন অশ্বিনও। তবে ঘরের মাঠে একাই দুই দলের মধ্যে তফাৎ গড়ে দিয়েছেন তিনি।
ম্যাচে দুই ইনিংস মিলে অক্ষর ১১ উইকেট এবং অশ্বিন সাত উইকেট নেন। ২০ উইকেটের ১৯টিই দখল করলেন স্পিনাররা। এদিন জফরা আর্চারকে আউট করার সঙ্গেই ক্যারিয়ারের ৪০০ টেস্ট উইকেট নেওয়ার মাইলফলক গড়েলেন অশ্বিন।
চতুর্থ ভারতীয় হিসাবে এই কীর্তি গড়লেন অশ্বিন। এর আগে অনিল কুম্বলে (৬১৯), কপিল দেব (৪৩৪) ও হরভজন সিং (৪১৭) এই কীর্তি গড়েন।
ভারতের জয়ের দিনে প্রশ্ন উঠেছে পিচ নিয়ে। আহমেদাবাদের এই পিচে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করার উপযুক্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন অনেকই। প্রথম দিনে দুই দলের ১৩ উইকেট পড়ার পর এদিন মাত্র দুই সেশনেই ১৭ উইকেট পড়েছে। পিচ নিয়ে আয়োজক হিসাবে বিসিসিআই অস্বস্তিতে পড়েছে। যদিও আইসিসি জানিয়ে দিয়েছে, পিচের জন্য কোনো পয়েন্ট কাটা হবে না ভারতের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড: ১১২/১০ ও ৮১/১০ (সিবলি ৭, রুট ১৯, স্টোকস ২৫, পোপ ১২, ফোকস ৮, আর্চার ০; আক্ষর ১৫-০-৩২-৫, অশ্বিন ১৫-৩-৪৮-৪, সুন্দর ০.৪-০-১-১)।
ভারত : ১৪৫/১০ ও ৪৯/০ (রোহিত ২৫*, গিল ১৫*; লিচ ৪-১-১৫-০, রুট ৩.৪-০-২৫-০)।
ফল: ভারত ১০ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ : চার ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ভারত।