দেশে ফিরে গেল আর্জেন্টিনা
করোনায় অনেক কিছুই দেখল বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন। এবার করোনা ইস্যুতে মাঠে গড়ানোর পরপরই থেমে গেল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মধ্যকার হাইভোল্টেজ ম্যাচ। সাইডলাইনে খেলোয়াড় ও ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের হাতাহাতিতে আপাতত স্থগিত ম্যাচ। ম্যাচটির ভবিষ্যৎ কী, সেটাও অজানা। তবে, ম্যাচ না হওয়ায় নিজ দেশে ফিরে গেল আর্জেন্টিনার ফুটবল দল।
মূল কাণ্ডটা ঘটে কোয়ারেন্টিন ইস্যুকে কেন্দ্র করে। এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া, জিওভান্নি লো সেলসো, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো—এ চার খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে কোয়ারেন্টিন না মানার অভিযোগ উঠেছে। ম্যাচ শুরু হওয়ার পর ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মাঠে ঢুকে যাওয়ায় এক পর্যায়ে ম্যাচটি স্থগিত হয়ে যায়। এরপর স্থানীয় সময় শেষ রাতের দিকে এজেইজাতে নেমেছে আর্জেন্টিনা দল।
ব্রাজিলে থাকা আর্জেন্টাইন রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েল স্কিওলি জাতীয় দলকে নিজে সাও পাওলো বিমানবন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে। সাইড লাইনের পাশে অচেনা একজনকে দেখে আর্জেন্টিনার দুই খেলোয়াড় নিকোলাস ওতামেন্দি ও মার্কোস আকুনা জিজ্ঞেস করলেন, তিনি কে? সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের ঘিরে ধরলেন অনেকে। মুহূর্তের মধ্যে হাতাহাতি হয়ে যায়। পরে দ্রুত এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন আর্জেন্টাইন কোচ।
আর্জেন্টিনার ক্রীড়া পত্রিকা টিওয়াইসির প্রতিবেদন অনুসারে পরে জানা যায়, সাইডলাইনে থাকা লোকটি ছিলেন ব্রাজিলের স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো আর জোভান্নি লো সেলসো ব্রাজিলের কোয়ারেন্টিন নিয়ম না মেনে ব্রাজিলে খেলতে এসেছেন। এর জন্য ব্রাজিলের জাতীয় স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধান এজেন্সির একাধিক কর্তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সদস্য মাঠের ভেতরে ঢুকে যান। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল মার্তিনেজ, রোমেরো ও লো সেলসোকে আটক করা। বিষয়টি নিয়ে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের ওই কর্মকর্তাদের মধ্যে হাতাহাতিও হয়ে যায়। পরে এই অভিযোগের জন্য মাঠ ছেড়ে উঠে যান আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়েরা।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়দের হাতাহাতির ঘটনার পর ম্যাচ স্থগিত করার খবর জানায় লাতিন আমেরিকার ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল।
এক টুইট বার্তায় কনমেবল গতকাল রোববার দিবাগত রাত আড়াইটায় জানায়, আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের মধ্যকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি রেফারি স্থগিত করেছে। ম্যাচ রেফারি ও ম্যাচ কমিশনার ফিফার শৃঙ্খলা কমিটির কাছে এ নিয়ে প্রতিবেদন দেবে। তার ওপর ভিত্তি করে এই ম্যাচের ভবিষ্যৎ ঠিক করা হবে। এই প্রক্রিয়া বর্তমান নিয়ম দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করেই এগোবে। বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব ফিফার প্রতিযোগিতা। এ ব্যাপারে সব সিদ্ধান্তের ক্ষমতা আছে কেবল ওই প্রতিষ্ঠানেরই।