দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশকে স্বস্তি দিলেন মুশফিক
ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুর সেশনটা চমৎকার কাটে বাংলাদেশের। সেই ছন্দ দ্বিতীয় সেশনে ধরে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা। এই সেশনে হারিয়ে ফেলে সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসের উইকেট। তবুও দলকে চাপে পড়তে দেননি মুশফিকুর রহিম। টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় সেশনে স্বস্তি দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
প্রথম সেশনে এক উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান তোলে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে এসে পায় লিডের দেখা। লাঞ্চ বিরতির পর এই সেশনে বাংলাদেশ দুই উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে যোগ করে ১৪৬ রান।
দ্বিতীয় সেশন শেষে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ৩১৬। মোট ১০২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় সেশন শেষ করে সাকিব আল হাসানের দল। উইকেটে ১২৪ রানে অপরাজিত মুশফিক। তাঁর সঙ্গে ১৮ রানে ব্যাট করছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
গতকাল মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) টেস্টের প্রথম দিনের একদম শেষ বেলায় তামিম ইকবাল আউট না হলে পুরো দিনটা নিজেদের করে নিতে পারত বাংলাদেশ। প্রথম দিনের শেষের মতো দ্বিতীয় দিনের শুরুটাও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। তবে সাকিব-মুশফিক মিলে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দিয়েছেন।
বাংলাদেশের রানের চাপ সামলে ৮৭ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। ৯৪ বলে তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ১৪টি বাউন্ডারি দিয়ে। এরপর দ্বিতীয় সেশনে কিছুক্ষণ উইকেটে লড়াই করে ফেরা লিটন করেন ৪১ বলে ৪৩ রান। যা সাজানো ছিল ৮টি বাউন্ডারি দিয়ে।
আজ বুধবার (৫ এপ্রিল) মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিন শেষে ১৮০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। দিনের শুরুটা চার মেরে করলেও নড়বড়ে ব্যাটিংয়ে মমিনুলের আউট হওয়ার শঙ্কা জেগেছিল। হয়েছেও তাই, দলীয় ৪০ রানে মার্ক অ্যাডাইরের বলে বোল্ড আউট হন মমিনুল। ৩৪ বল খেলে ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি এই বাঁহাতি ব্যাটার।
মমিনুলের বিদায়ে কিছুটা চাপে পড়লেও সাকিব-মুশফিকের দৃঢ়তায় খুব ভালোভাবেই সামাল দেওয়া গেছে সেই চাপ। এর মধ্যে ৪৫ বলে সাকিব পূরণ করেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩৫তম ফিফটি। সাকিবের পর ফিফটি পূরণ করেন আরেক ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। ৭২ বল থেকে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২৬তম ফিফটি।
এর আগে গতকাল মিরপুরে আগে ব্যাট করে ২১৪ রানে গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। শেষ বিকেলে খেলতে নেম ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৪ রান তোলে বাংলাদেশ। দিনের শেষে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারে হারায় নাজমুল হোসেন শান্তকে আর শেষ বলে হারায় ওপেনার তামিম ইকবালকে।