দ্বিতীয় সেশনে স্বস্তি দিলেন তাইজুল-মিরাজ
শক্তি,সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতা—সবকিছু দিয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এগিয়ে বাংলাদেশ। তার ওপর নিজেদের মাঠ। সবমিলিয়ে ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশ যে পরিস্কার ফেভারিট তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মাঠে দেখা গেল তারই প্রতিফলন। ঢাকার টেস্টে দিনের প্রথম সেশনের পর দ্বিতীয় সেশনে নিজেদের করে নিয়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনে তিন উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে স্বস্তি দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম।
আজ মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় সেশন শেষে স্কোরবোর্ডে ৬ উইকেটে ১৪৫ রান তুলেছে আয়ারল্যান্ড। উইকেটে ১১ রানে অপরাজিত ট্যাকার। তাঁর সঙ্গে ১০ রানে ব্যাট করছিলেন অ্যান্ডি।
মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেয় আয়ারল্যান্ড। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দেখেশুনে করলেও ওপেনিং জুটি বড় করতে পারেনি আইরিশরা। পঞ্চম ওভারেই জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি পেসারের ফুল লেন্থ ডেলিভারি মোকাবিলায় লাইন মিস করেন মারে কামিন্স। বল গিয়ে লাগে আইরিশ ওপেনারের প্যাডে, জোরালো আবেদন উঠলে তাতে সাড়া দিতে দেরি করেননি আম্পায়ার। ১০ বলে ৫ রান করে থামেন কামিন্স।
দলীয় ২৭ রানে ভাঙে আরেক ওপেনার জেমস ম্যাককলামের প্রতিরোধ। ইবাদত হোসেনের বাউন্স করা বলে দ্বিতীয় স্লিপে শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ম্যাককলাম। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৩৪ বলে ১৫ রান।
দুই পেসার মিলে দুই ওপেনারকে ফেরানোর পর তৃতীয় আঘাত হানেন তাইজুল। ২২তম ওভারে তাইজুলের স্পিনে পা দেন ব্যালনার্নে। মাত্র ৪৮ রানের মধ্যে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে দিনের শুরুটা ভালোই হয় বাংলাদেশের। প্রথম সেশনে ২৬ ওভার ব্যাটিং করে ৩ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৬৫ রান তোলে আয়ারল্যান্ড।
কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে এসে চমৎকার জুটি পেয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। চতুর্থ উইকেটে হ্যারি ট্যাক্টর ও কার্টিস ক্যাম্পার মিলে পথ দেখান আইরিশদের। দুজনে মিলে দ্বিতীয় সেশনের অনেকটা সময় দাপট দেখান। এর মধ্যে ৮০ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন ট্যাক্টর। আয়ারল্যান্ডের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক টেস্টে হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি।
ট্যাক্টরের সঙ্গে থাকা কার্টিসও দেখান দারুণ দৃঢ়তা। দুই ব্যাটারের সামনে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয় বাংলাদেশি বোলারদের। অবশেষে ৪২তম ওভারে এই জুটি ভেঙ্গে স্বস্তি ফেরান মিরাজ। ট্যাক্টরকে বোল্ড করে ৫০ রানেই থামান এই অফ স্পিনার। ১৪৫ মিনিট উইকেটে থাকা ট্যাক্টর নিজের ইনিংস সাজান ৯২ বলে, ৬ বাউন্ডারি আর এক ছক্কা দিয়ে।
মিরাজের পর তাইজুল ইসলামও পেয়ে যান জোড়া সাফল্যের দেখা। প্রথমে উইকেটে নতুন আসা পিটার মুরকে তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় করেন। এরপর এলবির ফাঁদে ফেলেন থিতু হয়ে যাওয়া কার্টিসকে। ফেরার আগে ৭৩ বলে ৩৪ রান করেন কার্টিস। সবমিলিয়ে দ্বিতীয় সেশনে তিন উইকেট হারিয়ে ৮০ রান তোলে আইরিশরা।