নারী ক্রিকেটকে অবহেলার কথা স্বীকার করলেন বিসিবি সভাপতি
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান শনিবার স্বীকার করেছেন, বোর্ডের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা নারী ক্রিকেটারদের অবদানকে স্বীকৃতি না দেওয়া। আজ শনিবার সিলেটে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে থাইল্যান্ডকে হারিয়ে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ তাদের অভিযান শুরু করে। তবে চার বছর আগে এই প্রতিযোগিতায় তাদের জয়ের পরও তারা উপেক্ষিত রয়েছে।
২০১৮ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল বাংলাদেশ। সেই সময়ের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার তাদের স্বাগত জানিয়েছিলেন। সেবার ঘোষণা করা হয়েছিল নারীদের জন্য একটি জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি করার।
এর পর বোর্ড নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়িয়েছে, তবুও একটি শক্তিশালী পাইপলাইন নিশ্চিত করার জন্য এখনও কোনো 'এ' দল নেই। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশকে আইসিসির উদ্বোধনী সংস্করণের আয়োজক হওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার পরে একটি অনূর্ধ্ব-১৯ দল গঠন করা হয়।
২০২১ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপ বাংলাদেশে হওয়ার কথা ছিল। তবে করোনাভাইরাসের কারণে সেই টুর্নামেন্টটি দক্ষিণ আফ্রিকায় স্থানান্তরিত করা হয়।
জাতীয় নারী দল প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করেও সম্প্রতি বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। দলটি ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করছে।
এ ব্যাপারে নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘মেয়েরা দীর্ঘদিন ধরে ভালো ক্রিকেট খেলছে এবং এটা আমাদের ব্যর্থতা যে আমরা তাদের চিনতে পারছি না এবং তাদের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি না।’
বিসিবি সভাপতি আরও বলেন, ‘যদি আমরা বিশ্ব র্যাঙ্কিং দেখি আমরা সম্ভবত নবম স্থানে আছি, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, থাইল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে আমাদের নীচে রয়েছে। শক্তির দিক থেকে তারা সবাই বেশ কাছাকাছি এবং কারণ তারা বিশ্বকাপের শেষ সংস্করণ খেলেছিল। তবে তারা যেভাবে খেলেছে বেশ আনন্দদায়ক ছিল।’
‘তারা বিশ্ব টি-টোয়েন্টি কোয়ালিফায়ারে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন এবং এসএ গেমসে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন থাকাকালীন কোয়ালিফায়ার বাধা অতিক্রম করে বিশ্বকাপ খেলেছে। তারা ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আমদের একই দল খেলছে। গত চার বছর ধরে আট-নয়জন ক্রিকেটার ফিক্সড।’
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও বিসিবি ক্রিকেটারদের ওপর কোনো চাপ দিচ্ছে না। এ সম্পর্কে নাজমুল হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি ভালো দল কিন্তু ভারত অনেক উন্নতি করেছে এবং আপনি যদি দেখেন ভারতের মহিলা দল খুব শক্তিশালী। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ড শক্তিশালী দল কিন্তু ভারত তাদের হারায় তাই বিবেচনায় নিলে অবশ্যই তারা অনেক এগিয়ে আছে। আমরা নেই। ২০১৮ এশিয়া কাপ থেকে খেলেছি এবং আমাদের একটি সুযোগ আছে এখন দেখা যাক।’