নিজেকে অলরাউন্ডার ভেবেই দায়িত্ব নেন রশিদ
জয়ের জন্য ১৭০ রানের বড় লক্ষ্য। তাড়া করতে নেমে ৪৮ রানেই নেই চার উইকেট। এমন বিপর্যয়ের মুখে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণভাবে দায়িত্ব পালন করেন রশিদ খান। ডেভিড মিলারকে সঙ্গ দেওয়ার পাশাপাশি নিজেও খেলেন দায়িত্বশীল ইনিংস। তাতে গুজরাটও পায় স্বস্তির জয়।
দলকে জয় উপহার দেওয়া রশিদ খান নিজেকে শুধু বোলার নয় এখন অলরাউন্ডারও ভাবেন। তাইতো ব্যাটিংয়ে গিয়ে সেভাবে দায়িত্ব সামলেছেন এই আফগান তারকা।
আইপিএলে গতকাল রোববার চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে তিন উইকেটে জয় তুলে নেয় গুজরাট টাইটানস। কাল নিয়মিত অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে পায়নি গুজরাট। তাই অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন রশিদ খান। দায়িত্ব পেয়েই গুজরাটকে চেন্নাইয়ের মতো শক্ত দলের বিপক্ষে জেতালেন আফগান তারকা।
ব্যাট হাতে মাত্র ২১ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন রশিদ। আর ইনিংসের ভিত গড়ে দেওয়া ডেভিড মিলার খেলেন ৫১ বলে ৯৪ রানের অপরাজিত ইনিংস।
গুজরাটের জয়ের পর রশিদ খান জানান, দলকে নেতৃত্ব দিয়ে জেতাতে পারাটাই তাঁর কাছে স্বপ্ন পূরণ হওয়ার মতো। তিনি বলেন, ‘দলকে নেতৃত্ব দেওয়া স্বপ্ন পূরণ হওয়ার মতো কিছু। তবে জয়টাই সবচেয়ে স্মরণীয়। ব্যাট হাতে এভাবে অবদান রাখতে পারাও স্পেশাল।’
এরপর আফগান তারকা বলেন, ‘উইকেটে যাওয়ার পর আমার চাওয়া ছিল ম্যাচ যতটা সম্ভব টেনে নিয়ে যাওয়া। ৭ ওভারে ৯০ রান করতে পারার বিশ্বাস আমাদের ছিল। ডেভিডকে (মিলার) বলেছিলাম, নিজের জোনে পেলে মেরে দিতে। আমি নিজেকে অলরাউন্ডারই বিবেচনা করি, সেই দায়িত্ব তো নিতেই হবে।’
রশিদ খান আরো বলেন, ‘নিজের ব্যাটিং স্কিলে আমার আস্থা আছে। ডেভিডের সঙ্গে কথাও বলছিলাম এটা নিয়ে। (জর্ডানের) ওই ওভারে কিছু একটা করতেই হতো, এক পাশের বাউন্ডারি ছিল ছোট। আমি ডেভিডকে বলেছিলাম, এই ওভারে যদি ২০ নিতে পারি, তাহলে শেষের দুই ওভারে ৩০ রান লাগবে। আমরা পারব। সৌভাগ্যবশত, আমি যেখানে চাচ্ছিলাম, সে (জর্ডান) সেখানেই বল করেছে।’