নিলামে চড়া দাম পেয়ে ১৫ হাজার রুপির পিৎজা খাওয়ালেন পুরান
দেড় কোটি রুপিতে আইপিএলের নিলামে নাম লিখিয়েছিলেন নিকোলাস পুরান। কিন্তু, তিনি হয়তো স্বপ্নেও ভাবেননি তাঁর দাম এত উঠবে। মেগা নিলামে তাঁকে ১০ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে নিয়েছে সানরাইজার্স। এ খুশিতে উচ্ছ্বসিত পুরান। নিলামে চড়া দাম পাওয়ার খুশিতে ১৫ হাজার রুপিতে ১৫টি পিৎজা অর্ডার করেন ক্যারিবীয় তারকা।
গেল আসরের নিলামেও পুরানকে নিয়ে কাড়াকাড়ি হয়েছে। কিন্তু, সে হিসাবে পাঞ্জাব কিংসে মোটেই ভালো করতে পারেননি তিনি। ১২ ম্যাচে ৭.৭২ গড়ে করেন ৮৫ রান। এক ইনিংসে তাঁর সর্বোচ্চ রান ছিল ৩২। ফলে এবারের নিলামে পুরানের এত দাম পাওয়া ছিল পুরোই অপ্রত্যাশিত।
কিন্তু, নিলামের টেবিলে দেখা গেল অন্য চিত্র। পুরানকে দলে ভেড়াতে রীতিমতো উঠে পড়ে লেগেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের মধ্যে। পরে শেষ পর্যন্ত ১০ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে তাঁকে দলে নেয় হায়দরাবাদ।
এ আনন্দেই পিৎজা অর্ডার করেন এ মুহূর্তে ভারত সফরে থাকা পুরান। ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমস জানিয়েছে, ১৫ হাজার রুপিতে ১৫টি পিৎজা অর্ডার করেন পুরান। তবে, ওই পিৎজা সতীর্থদের খাওয়াতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বায়ো-বাবল। কারণ বায়ো-বাবলে বাইরের জিনিস প্রবেশ নিষেধ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের স্থানীয় ম্যানেজার ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘বাইরে থেকে খাবার আনার যেহেতু অনুমোদন নেই, তাই সে (পুরান) ১৫টি পিৎজা হোটেলের শেফের কাছে অর্ডার করে। একজন যোগ্যতাসম্পন্ন শেফ তা (খাবার) পরীক্ষা করেন। গ্রেড ওয়ান জৈব সুরক্ষাবলয়ের মধ্যে থাকায় বাইরে থেকে আনা সব খাবারই স্যানিটাইজ করে এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে কামরায় সরবরাহ করা হয়। ১৫টি পিৎজা-বক্স খেলোয়াড়দের কামরায় পাঠানোর আগে এভাবেই পরীক্ষা করে নেওয়া হয়েছে। দাম খেলোয়াড়ই (পুরান) দিয়েছেন।’