নিষিদ্ধ, তারপরও রাশিয়ান অ্যাথলেটদের জয়জয়কার
ডোপিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে রাশিয়াকে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (ডব্লিউএডিএ)। পরে সেই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে খেলার সর্বোচ্চ আদালতে ‘কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস (সিএএস)’ আপিল করেছিল তারা। পরে তা দুই বছর কমানো হয়। তবে এই সময়ে কোনো আন্তর্জাতিক ইভেন্ট আয়োজন করতে পারবে না এবং অংশও নিতে পারবে না রাশিয়া।
অলিম্পিকের অন্যতম সফল দল রাশিয়া দেশ হিসেবে নিষিদ্ধ হলেও তাদের অ্যাথলেটরা অলিম্পিকে ঠিকই অংশ নিয়েছে, সাফল্যও পাচ্ছে। টোকিও অলিম্পিকে এবার রাশিয়ার ৩৩৫ জন ক্রীড়াবিদ অংশ নেয়। কীভাবে?
অলিম্পিকে রাশিয়ার পতাকা ও লোগো ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। তাই রাশিয়ান অ্যাথলেটরা এবার রাশিয়ান অলিম্পিক কমিটি বা রোক নামে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছে।
অ্যাথলেটদের কথা ভেবেই অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেয় আইওসি। যদিও রাশিয়ার কোনো পতাকা, জাতীয় প্রতীক, জাতীয় সঙ্গীত অলিম্পিকে ব্যবহার নিষিদ্ধ থেকেছে।
২০১৪ সালে ঘটনা সামনে আসে। রাশিয়ান ডোপিং বিরোধী সংস্থার সাবেক কর্মচারী এক ডকুমেন্টারিতে ফাঁস করে দেন কীভাবে রাশিয়া পদক জয়ের জন্য ডোপিং করাচ্ছে দেশের ক্রীড়াবিদদের।
এই অভিযোগের পর ২০১৫ সালে রাশিয়ার ডোপিং বিরোধী ল্যাব বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ১০০ জন রাশিয়ান অ্যাথলেটকে সব ধরনের খেলায় নিষিদ্ধ করে।
টোকিওতে রাশিয়ান অ্যাথলেটরা বেশ ভালো করছে। জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, চীনের পরেই তাঁদের অবস্থান । ৭টি স্বর্ণ, ৭টি রুপা ও ৪টি ব্রোঞ্জসহ মোট ১৮টি পদক নিয়ে এখন পর্যন্ত চতুর্থ স্থানে রয়েছে তারা।