নেইমারের ফোলা পায়ে শঙ্কা বাড়ছে ব্রাজিলের
দুঃখ নেইমারের, দুঃখ ভক্তদেরও। কাতার বিশ্বকাপ দিয়ে নেইমার খেলছেন তিন বিশ্বকাপ। তবে কেন যেন বড় মঞ্চেই বারবার ধাক্কা খাচ্ছেন নেইমার। ২০১৪ বিশ্বকাপে ঘরের মাটিতে ভেঙেছিল মেরুদণ্ডের হাড়। ২০১৮ কিছুটা ভালো গেলেও এবার আবার পড়েছেন চোটে। ফুলে গেছে ডান পা, শঙ্কা বাড়ছে বিশ্বকাপে ফেরা নিয়ে। দলের বড় তারকাকে না দেখতে পেয়ে মন খারাপ হচ্ছে ব্রাজিল ভক্তদেরও।
গোড়ালিতে চোট পাওয়ার বিষয়টি নেইমারের জন্য এবারই প্রথম না। ২০১৩ সালে বার্সেলোনায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পরে এই গোড়ালির চোটেই পড়েছিলেন নেইমার। তাতে ৩০০ দিন ধরে খেলার বাইরে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। তাই পুনরায় গোড়ালির চোট নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে ব্রাজিল। চিন্তিত রয়েছেন জাতীয় দলের ডাক্তাররাও।
এদিকে নেইমার তাঁর ভক্তদের জন্য ইনস্টাগ্রামে গোড়ালির বর্তমান অবস্থার একটি ছবি শেয়ার করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, পা ফুলে খারাপ অবস্থা তৈরি হয়েছে। নেইমারের বর্তমান অবস্থার ছবি টুইটারেও শেয়ার করা হয়েছে তাঁর ফ্যান পেজ থেকে। যেখানে একটি ছবিতে লেখা রয়েছে— ‘বোরা’। এর মাধ্যমে নেইমার বুঝিয়েছেন—‘চিন্তা করো না, আবার খেলব শিগগিরই। চলো যাই।’
চোটের কারণে আজ সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামছেন না নেইমার। এমনকি গ্রুপ পর্বের বাকি ম্যাচ ক্যামেরুনের বিপক্ষেও নামা নিয়ে রয়েছে সংশয়। ঠিক কবে নাগাদ সেরে উঠতে পারেন নেইমার, সে ব্যাপারেও দলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়নি। তবে কোচ তিতে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, খুব দ্রুত নেইমার দলের সঙ্গে যোগ দিবেন।
গত ২৪ নভেম্বর দিনগত রাতে সার্বিয়ার বিপক্ষে খেলার ৭৯ মিনিটে নেইমার ডান পায়ের গোড়ালিতে আঘাত পান। নেইমারকে প্রতিহত করতে গিয়ে সার্বিয়ার ডিফেন্ডার নিকোলা মিলেনকোভিচ সরাসরি গোড়ালিতে আঘাত করেছিলেন সেদিন। এর কিছুক্ষণ আগে নেইমারের একই জায়গায় আঘাত করেছিলেন সার্বিয়ান মিডফিল্ডার নেমাঞ্জা গুদলেজ। সেজন্য রেফারি গুদলেজকে হলুদ কার্ডও দিয়েছিলেন।
তবে নিকোলার করা আঘাতে নেইমার গুরুতর আঘাত পান। তা দেখে তিতে উঠিয়ে নিয়েছিলেন নেইমারকে। মাঠ ছেড়ে সাইড বেঞ্চে গিয়ে বসে পড়েন এবং কান্নায় ভেঙে পড়েন নেইমার। পরে জানা যায়, গ্রুপ পর্বের বাকি ম্যাচগুলো খেলতে পারবেন না নেইমার।