পাঁচ গোলের ম্যাচে দ. কোরিয়ার বিপক্ষে জয় পেল ঘানা
প্রথমার্ধের গ্লানি ভুলে ম্যাচে ফিরতে বেগ পেতে হয়নি দক্ষিণ কোরিয়ার। তবে বিধি বাম। জয় লেখা ছিল না তাঁদের কপালে। যদিও গোলভরা ম্যাচটি দর্শকদের জুগিয়েছে আনন্দের ফোয়ারা। শেষ পর্যন্ত দ. কোরিয়ার বিপক্ষে ২-৩ গোলের জয় পেয়েছে ঘানা।
আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় কাতারের আল রায়ান শহরের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া-ঘানা। শুরুতে যেভাবে আক্রমণ শুরু করেছিল দ. কোরিয়া, সেটি ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। ফলে প্রথমার্ধের বিরতিতে যাওয়ার আগে ২ গোল হজম করতে হয় তাঁদের। ব্যাক টু ব্যাক গোল করে উড়ন্ত কোরিয়ার পাখা ছেঁটে দেয় ঘানা।
প্রথমার্ধে কোরিয়ার আক্রমণ কিছুটা দুর্বল হলেই পাল্টা আক্রমণে নামে কুদুসের দল। ২৩ মিনিটে আসে প্রথম গোল। লেফ্ট উইং থেকে ফ্রি কিক পায় ঘানা। কিক করে বল ডি-বক্সে পাঠালে জটলার মধ্য থেকে গোলে বল জড়ান মোহাম্মদ সালিসু। তবে দেখে মনে হচ্ছিল, বল গোলে ঢোকার আগে হাতে লেগেছে। অবশ্য ভিডিও সহকারী রেফারি (ভিএআর) সেটিকে গোল হিসেবে স্বীকৃতি দিলে উদযাপনে ঘানার আর বাধা থাকেনি।
৩৩ মিনিটে মোহাম্মদ কুদুস ঘানার হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এবার গোলটি করতে সহায়তা করেন জর্ডান আইয়ে। দুই গোল পেয়ে চাঙ্গা হয়ে ওঠেন ঘানার খেলোয়াড়েরা। ফলে বিরতিতে যাওয়ার আগে তাঁদের বিপক্ষে সফলতা পায়নি দক্ষিণ কোরিয়া।
প্রথমার্ধের বিরতি থেকে ফিরেই আক্রমণে পূর্ণ মনোনিবেশ করে দ. কোরয়িা। ফল আসতেও বেশি দেরি হয়নি। ৫৭ মিনিটে কোরিয়ান স্ট্রাইকার লি কান-ইনের বলে হেড দিয়ে গোল করেন চো গুয়ে-সুন। দুই মিনিট পরেই আবারও গোল করেন গুয়ে-সুন। এবারও হেড। কোরিয়া ফেরে ২-২ গোলের সমতায়। দ্বিতীয় গোলটি পেতে সহায়তা করেছেন কিম জিন-সু।
গুয়ে-সুনের দ্বিতীয় গোলটিতে বেশ পরাস্ত হয়েছিলেন ঘানার গোলরক্ষক লরেন্স আটি জিগি। বল ধরতে গিয়ে লরেন্সও জালের মধ্যে ঢুকে পড়েন। ম্যাচে সমতা ফেরায় জয় তোলার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন কোরিয়ানরা। তবে মন্দ কপাল তাঁদের। সমতায় ফেরার ৭ মিনিট পরেই ঘানার হয়ে ব্যবধান বাড়ান মোহাম্মাদ কুদুস। ২-২ থেকে ২-৩ গোলে চলে যায় ম্যাচটি।
এরপরে এক গোলে এগিয়ে থেকে ঘানা কিছুটা রক্ষণাত্মক খেলার চেষ্টা করে। এই সুযোগে ঘানার গোলরক্ষক লরেন্স আটি জিগির বারবার পরীক্ষা নিতে থাকেন কোরিয়ান স্ট্রাইকাররা। তবে সে পরীক্ষা যতই কঠিন হোক, ফেল করেননি জিগি। তাতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারে ঘানা।
এদিকে ম্যাচ শেষে ঘটে অঘটন। শেষ মুহূর্তে কর্নার পেয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। তবে রেফারি কর্নার না দিয়ে ম্যাচ শেষ করায় ক্ষুব্ধ হোন কোরিয়ান কোচ পাওলো বেন্টো। তর্ক জুড়ে দেন রেফারির সঙ্গে। তাতে বেন্টোকে দেখতে হয় লাল কার্ড।
প্রথম ম্যাচে পর্তুগালের বিপক্ষে ৩-২ গোলে হেরে ব্যাকফুটে চলে গেছিল ঘানা। আর প্রথমটাতে ড্র করে আসা দ. কোরিয়া জয় পেলে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকতে পারত। তবে সে সুবিধা থেকে তাঁদের বঞ্চিত করেছে ঘানা। দক্ষিণ কোরয়িাকে বিপদে ফেলে নক আউটে ওঠার লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়েই থাকল তাঁরা।