পাকিস্তানকে বড় লক্ষ্য দিতে পারল না বাংলাদেশ
ইনিংসের শুরুটা হয়েছিল হতাশা দিয়ে। এক পর্যায়ে মনে হয়েছিল ১০০ করতেও পারবে না বাংলাদেশ। কিন্তু আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসানের ব্যাটে শেষ পর্যন্ত শতক ছাড়ানো একটা ইনিংস গড়ে স্বাগতিকরা। আফিফ, নুরুল, মেহেদীদের ছোট ছোট ইনিংসে চড়ে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে ১২৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
আজ শুক্রবার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান গড়ে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন আফিফ হোসেন।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দলীয় ৩ রানের মাথায় বিদায় নেন ওপেনার নাঈম। দ্বিতীয় ওভারে হাসান আলীর করা প্রথম বলটিতেই ধরা পড়েন নাঈম। পাকিস্তানি বোলারের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে বল জায়গায় দাঁড়িয়েই ব্যাট চালান নাঈম। কিন্তু টাইমিং গড়বড়ে ছিল। বল চলে যায় কিপারের হাতে, ১ রানে বিদায় নেন নাঈম।
নাঈমের পর হতাশ করেন আরেক ওপেনার সাইফ হাসান। অভিষেকে তিনি করেন কেবল ১ রান। পরের ওভারে বাজে বল খেলতে গিয়ে আউট হন সাইফ। মোহাম্মদ ওয়াসিমের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের একটু লাফানো বলে খোঁচা দিয়ে প্রথম স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ১ রান করা সাইফের ব্যাটিংও ছিল অস্বস্তিদায়ক। টি-টোয়েন্টিতে ১ রান তুলতে সাইফ খেলেন ৮ বল।
দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর হাল ধরতে পারেননি নাজমুল শান্তও। লম্বা সময় পর টি-টোয়েন্টিতে ফেরা শান্ত খেললেন মাত্র ৭ রানের ইনিংস। মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলেই জায়গা করে নিয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ফিরতি ক্যাচ মুঠোয় জমান ওয়াসিম।
পাওয়ার প্লেতে শুধু হতাশাই দেখে বাংলাদেশ। প্রথম ছয় ওভারে বাংলাদেশ তোলে মাত্র ২৫ রান, হারায় ৩টি উইকেট। এর মধ্যে বাউন্ডারি মাত্র একটি।
তিন উইকেট হারানোর পর আফিফ হোসেনের সঙ্গে কিছুটা আশা জাগান মাহমুদউল্লাহ। সেটিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মোহাম্মদ নওয়াজের ডেলিভারিতে বোল্ড হন মাহমুদউল্লাহ। ১১ বলে ৬ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। ভাঙে ২৬ বলে ২৫ রানের জুটি।
এরপর বাকিদের নিয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন নুরুল ও আফিফ। দুই ছক্কায় ২২ বলে ২৮ রান করে ফেরেন নুরুল। আফিফ ফেরেন ৩৬ রানে। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানরা দ্রুত ফিরলে শেষ দিকে টেলএন্ডারদের নিয়ে নির্ধারিত ওভারে স্কোরবোর্ডে ১২৭ রান তোলেন মেহেদী হাসান। ২০ বলে ৩০ রান করেন তিনি।
পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে ২২ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন হাসান আলী। ২৭ রান খরচায় এক উইকেট পান নেওয়াজ। ২৪ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। শাদাব খানের শিকার একটি।