পাপন-সুজন ছাড়া বিসিবিতে কাজ করার মতো মানুষ দেখছেন না সাকিব
এক ঘণ্টার এক ফেসবুক লাইভে এসে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। কথা বলেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা ব্যবস্থা নিয়ে। প্রশ্ন তুলেছেন, বোর্ড কর্মর্তাদের ভূমিকা ও পাইপলাইন নিয়ে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও খালেদ মাহমুদ সুজন ছাড়া বোর্ডে কাজ করার মতো মানুষ দেখছেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে সাকিব বলেন, ‘ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগ জাতীয় দল নিয়ে কী কাজ করেছে, কী পরিকল্পনা করছে? তাদের ব্যর্থতা বা সাফল্য কী? আকরাম ভাই তো অনেক সাহসী মানুষ, এর আগে উনি পদত্যাগও করেছেন। এখন ব্যর্থতার দায় তো তাঁর ওপরও পড়ে, নাকি?’
এরপর পাইপলাইন নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আমাদের থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত একটা লম্বা গ্যাপ। এই জায়গায় কী কাজ হয়েছে? আমাদের একাডেমি বা এইচপিতে তো তেমন কোনো কাজ দেখি না। যদি দেখতামই, তাহলে পাইপলাইনে খেলোয়াড় থাকতো। যদি পাইপলাইন না থাকে তাহলে আর এইচপির কী দরকার? আমাদের সময় পাইপালাইন ছিল না, তখন জাতীয় দলে এসে নিজেকে তৈরি করতে হতো, আমাদের আগে এটা আরও কঠিন ছিল। তখন কিছু ছিল না। কিন্তু এখন আমাদের একাডেমি আছে, সব আছে কিন্তু খেলোয়াড় কোথায়? সুজন ভাই ছাড়া কারও খুব বেশি ইনভলভমেন্ট নেই। তিনি থাকায় যুবদল বিশ্বকাপের মতো সাফল্য পেয়েছে। এ ছাড়া গত চার-পাঁচ বছরে আমি তো কিছু দেখি না। পাইপলাইন মানেই এমন খেলোয়াড় যে এসে জায়গাটা পূরণ করবে। এমন কিছু কি হয়েছে?’
এরপর বর্তমান সভাপতি পাপনের ভূমিকাকে উল্লেখ করে সাকিব যোগ করেন, ‘আমরা সবসময় পাপন ভাইকে দোষ দেই। পাপন ভাই আমার কাছে মনে হয় যত বেশি চিন্তা করে, ওত বেশি চিন্তা খুব কম মানুষই আছে ক্রিকেট বোর্ডে করে। সুজন ভাইও করে। তার ফলটাও আমরা দেখতে পাচ্ছি। যুবদল ভালো করছে। আমি জানি না, আসলে খুব বেশি একটা কারও সংযুক্তি আছে বলে মনে করি না। এই দুজন ছাড়া ক্রেডিট দেওয়ার মানুষ তো দেখি না, যারা আসলে ক্রিকেটটা নিয়ে ভাবছে।’
সাকিব টেনেছেন গণমাধ্যমের প্রসঙ্গও, ‘আমাদের সাংবাদিকেরাও ছোট ছোট বিষয় নিয়ে কথা বলে। কিন্তু এসব দেখে না যে, শেষ পাঁচ বছরে কতজন ক্রিকেটার তৈরি হয়েছে। অন্যরা যখন ছুটি নেয় সেসব নিয়ে কথা হয় না। বুমরাহ (ভারতীয় ক্রিকেটার) একটা সিরিজ চলাকালীন ছুটি নিয়ে বিয়েই করে ফেলল। কোনো আলোচনা নেই। কিন্তু, আমাকে নিয়ে কেন কথা হয়? সবার জন্য তো সমান বিচার করা উচিত।’