পুরুষ হিসেবে খেলা ভারোত্তোলক এবার অলিম্পিকে খেলবেন নারী দলে
বিতর্কের মধ্যেই টোকিও অলিম্পিকে অংশ নিয়ে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন নিউজিল্যান্ডের রূপান্তরিত নারী ভারোত্তোলক লরেল হাবার্ড। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রীড়াযজ্ঞে এর আগে কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
তীব্র সমালোচনার আবহেই আজ সোমবার নিজেদের অলিম্পিকগামী দলে লরেল হাবার্ডের নাম অন্তর্ভুক্তির কথা জানিয়েছে নিউজিল্যান্ডের অলিম্পিক কমিটি। এতে করে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। লরেল হাবার্ড ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের ভারোত্তোলক পুরুষ দলে খেলেছেন।
নিউজল্যান্ড অলিম্পিক কমিটির প্রধান কেরেইন স্মিথ জানিয়েছেন, ৪৩ বছর বয়সী লরেল হাবার্ড নিজেকে ছেলে থেকে নারীতে রূপান্তর করেন। অলিম্পিকে রূপান্তরিত অ্যাথলিটদের অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় মানদণ্ড লরেল অর্জন করেছেন বলে জানিয়েছেন স্মিথ। তাঁর বক্তব্য, ক্রীড়াক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্যের মতো ক্ষতিকারক অভ্যাসকে স্থান দিতে চায় না নিউজিল্যান্ড অলিম্পিক কমিটি।
আগামী ২৩ জুলাই থেকে অনুষ্ঠাতব্য টোকিও অলিম্পিক গেমসে নারীদের ৮৭ কেজি বিভাগের ভারোত্তোলন ইভেন্টে অংশ নেবেন লরেল হাবার্ড। এই ইভেন্টে লরেল র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বে ১৬তম স্থানে রয়েছেন।
ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির ২০১৫ সালে প্রবর্তিত নিয়ম অনুযায়ী, কোনো রূপান্তরিত অ্যাথলিট তখনই গেমসে অংশ নিতে পারেন, যখন তাঁর শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা প্রতি ১০ ন্যানোমোলসের নিচে থাকে। সে যোগ্যতার মাপকাঠিতে নিউজিল্যান্ডের লরেল হাবার্ড ঊত্তীর্ণ হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। অলিম্পিকে খেলার ছাড়পত্র পেয়ে আপ্লুত লরেল। জানিয়েছেন, কঠিন সময়ে তিনি দেশের মানুষ ও অলিম্পিক কমিটির কাছ থেকে যে সহযোগিতা পেয়েছেন, তাতে তিনি অভিভূত। ইতিহাস গড়ার অপেক্ষা থাকা লরেল হাবার্ড ২০১৭ সালের বিশ্ব ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে রুপা জিতেছিলেন। চোটের কারণে ২০১৯ সালে তিনি একই প্রতিযোগিতায় ষষ্ঠ স্থান দখল করেছিলেন।
লরেলের টোকিও অলিম্পিকে অংশগ্রহণ যুক্তিসঙ্গত কি না, সে প্রশ্ন তুলেছিলেন বেলজিয়ামের ভারোত্তোলক আনা ভ্যানবেলিংহেন। এ ঘটনাকে তিনি রসিকতা বলে আখ্যা দিয়েছেন। অলিম্পিকে লরেল হাবার্ডের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিশ্ব ক্রীড়া মহলের একটি অংশও।