পোর্ট এলিজাবেথের কন্ডিশনও চোখ রাঙাচ্ছে বাংলাদেশকে
ডারবানের তিক্ত অভিজ্ঞতা সঙ্গে নিয়ে পোর্ট এলিজাবেথে গেছে বাংলাদেশ দল। ২৪ ঘণ্টা বাদেই সেন্ট জর্জেস পার্কে সিরিজের দ্বিতীয় শেষ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মুখোমুখি হবে সফরকারীরা।
ডারবানে বাংলাদেশ যেভাবে হেরেছে, তাতে প্রতিপক্ষ নিয়ে আলাদা করে ভাবতেই হচ্ছে। সেইসঙ্গে বাংলাদেশকে চোখ রাঙাচ্ছে পোর্ট এলিজাবেথের কন্ডিশন। প্রতিপক্ষের পাশাপাশি এখানকার কন্ডিশনের চ্যালেঞ্জের সঙ্গেও লড়তে হবে মুমিনুলদের—এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড।
এ ভেন্যুর সঙ্গে ডোনাল্ডের সখ্য পুরোনো। ১৩৩ বছরের এ মাঠে ১৯৯২ সালের প্রথম বার টেস্ট খেলেন ডোনাল্ড। তাঁর বোলিং দাপটেই সে টেস্টে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
সে ভেন্যু নিয়ে ধারণা দিতে কোচ জানালেন, এ মাঠের চ্যালেঞ্জ নেওয়া কতটা কঠিন। এ মাঠের বড় চ্যালেঞ্জ এখানকার বাতাস। দুপুর নাগাদ প্রবল বাতাস হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয় ক্রিকেটারদের।
বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় ডোনাল্ড বলছেন, ‘পোর্ট এলিজাবেথে একটি জিনিসের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে, সেটা হলো এখানকার বাতাস। সাড়ে ১২টা থেকে ২টার মধ্যে এখানে প্রবল বাতাস হয়। দলের সঙ্গে আমরা সেটা নিয়ে আলাপ করেছি। উঁচু ক্যাচ নেওয়া এখানে অনেক স্কিলের ব্যাপার। তার জন্য বুঝতে হবে বাতাস কোন দিক থেকে আসছে। বিকেলের সময়টাতেও ৪০-৪৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস আসে। এটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ বলেন, ‘মাঠটা উইন্ড টানেল-এর মতো। স্কোরবোর্ড থেকে মাঠের ভেতর দিয়ে। এ বাতাস আবার ঘুরতে থাকে। বোলারদের কখনও মনে হয় বাতাসের অনুকূলে বোলিং করছে, হুট করেই আবারও মনে হবে বাতাসের প্রতিকূলে।’
এ চ্যালেঞ্জে মানিয়ে নিতে ফিল্ডিংয়ে মনোযোগ দিতে বলছেন কোচ, ‘আমাদের ফিল্ডিংয়ে অনেক মনোযোগ দিতে হবে। উঁচু ক্যাচিংয়ে যেন সঠিক পজিশনে যাওয়া যায় দ্রুত। (ম্যাচে) কাউকে কঠিন কাজটি করতে হবে, বাতাসের সঙ্গে বোলিং করা। কাউকে বাতাসের সঙ্গে করতে হবে বোলিং, কাউকে বিরুদ্ধে। কাজটি তাই কঠিন হবে।’
আগামীকাল শুক্রবার মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। পোর্ট এলিজাবেথে ম্যাচটি মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায়।