প্রথমে চাপে পড়লেও শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের ভালো সংগ্রহ
টস জিতে প্রথমে ব্যাটের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। দলীয় ৪৩ রানেই চার উইকেট হারায় তারা। মনে হচ্ছিল, বেশিদূর যেতে পারবে না বাবর আজমরা। তবে, শাদাব-ইফতিখার জুটিতে শেষ পর্যন্ত ভালো সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। তাদের ৮২ রানের জুটিতে পাকিস্তান করে ১৮৫ রান।
আজ বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বাঁচা-মরার ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৮৬ রানের টার্গেট দিয়েছে বাবর আজমরা।
প্রথম ওভারেই ওয়েন পার্নেলের বলে আউট হন ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান (৪)। দলীয় ৩৮ রানে মোহাম্মদ হারিস (২৮), ৪০ রানে বাবর আজম (৬) এবং ৪৩ রানে শান মাসুদ (২) আউট হলে বিপদে পড়ে পাকিস্তান। তখন মোহাম্মদ নাওয়াজ-ইফতিখার আহমেদের ৫২ রানের জুটি কিছুটা চাপ মুক্ত করে পাকিস্তানকে।
দলীয় ৯৫ রানে শামসির বলে মোহাম্মদ নাওয়াজ (২৮) আউট হলে ব্যাটে নামেন শাদাব খান। নেমেই ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করেন শাদাব। শেষ পর্যন্ত ২২ বলে ৫২ রান করেন তিনি। দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন ইফতিখার আহমেদ। তিনি ৩৫ বলে করেন ৫১ রান।
শাদাব-ইফতিখার জুটিতে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান করে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ৪ উইকেট নিয়েছেন আনরিখ নরকিয়া।
জবাবে ব্যাটে নামলে প্রথম ওভারেই দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার কুইন্টন ডি কককে (০) আউট করেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। দলীয় ১৬ রানে রাইলি রুশোকেও (৭) আউট করেন তিনি।
তিন ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ দুই উইকেটে ১৬ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান : ২০ ওভারে ১৮৫/৯ (রিজওয়ান ৪, বাবর আজম ৬, মোহাম্মদ হারিস ২৮, ইফতিখার ৫১, শাদাব ৫২, নাওয়াজ ২৮; আনরিখ নরকিয়া ৪-০-৪১-৪, পার্নেল ৪-০-৩১-১, কাগিসো রাবাদা ৪-০-৪৪-১, লুঙ্গি ৪-০-৩২-১ ও শামসি ৪-০-৩৬-১)।
জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ১৮৬ রান।