প্রিমিয়ার লিগের হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন আবাহনী
ছয় বছর পর ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের শিরোপা জেতার হাতছানি ছিল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের। এবারের টুর্নামেন্টে শুরু থেকেই ছন্দে ছিল দলটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেডের সঙ্গে পারল না প্রাইম ব্যাংক। সুপার লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে প্রাইম ব্যাংককে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতল আবাহনী লিমিটেড।
আজ শনিবার অলিখিত ফাইনালে প্রাইম ব্যাংককে ৮ রানে হারিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। গত দুই আসরেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আবাহনী। প্রাইম ব্যাংক ২০১৫ সালে সবশেষ শিরোপা জিতেছিল। ৬ বছর পর এত কাছে এসেও তরী ডুবল তাদের।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আবাহনীর দেওয়া ১৫১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা সুখকর হয়নি প্রাইম ব্যাংকের। প্রথম ওভারেই ব্যাটিংয়ের প্রাণভোমরা রনি তালুকদারকে হারায় তারা। তৃতীয় ওভারে ফেরেন অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। তবুও রানের গতি ভালো ছিল প্রাইম ব্যাংকের। টিকে ছিলেন ওপেনিংয়ে নামা রুবেল মিয়া। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ৪৩ বলে ৪১ রান করেন তিনি।
কিন্তু দলকে বাঁচাতে পারেননি রুবেল। শেষ দিকে উইকেটে ধস নামে প্রাইম ব্যাংকের। ৭ রানের মধ্যেই আরও তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে প্রাইম ব্যাংক। শেষ দিকে অলোক কাপালির ব্যাটে আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত ১৪২ রানে গুটিয়ে নেয় প্রাইম ব্যাংক।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫০ রান করে আবাহনী লিমিটেড।
এদিন ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা খায় আবাহনী। প্রথম বলেই গোল্ডেন ডাকে ফেরেন মোহাম্মদ নাঈম। পঞ্চম ওভারের মধ্যে আরও দুটি উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা।
দ্রুত উইকেট হারনোর পর নাজমুল হোসেন শান্ত-মোসেদ্দেক হোসেন সৈকতের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। তবে রানের গতি স্লো ছিল শান্তর। ৪০ বলে ৪৫ রান করে ফেরেন তিনি। অধিনায়ক সৈকত খেলেন ৩৯ বলে ৪০ রানের ইনিংস। দুজনের জুটি থেকে আসে ৭০ রান। শেষ দিকে সাইফউদ্দিনের ১৩ বলে ২১ রানের ঝড়ে দেড়শ রান স্পর্শ করে দলটি।
প্রাইম ব্যাংকের হয়ে বল হাতে ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন রুবেল হোসেন।