ফুটবল থেকে নির্বাসিত হয়ে শান্তি চাইছে রুশ ক্লাব
ইউক্রেনে হামলার কারণে সারা বিশ্বে নিন্দায় ভাসছে রাশিয়া। এর প্রভাব পড়েছে ফুটবলেও। রাশিয়ার জাতীয় ফুটবল দল এবং ক্লাবগুলোকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা ও ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। নির্বাসিত হয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে রাশিয়ার ক্লাব স্পার্তাক মস্কো।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্ব ও ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা যৌথ বিবৃতিতে রাশিয়ার ফুটবলকে নিষিদ্ধ করার কথা জানিয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে ফিফা।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) রাশিয়ান ও বেলারুশের অ্যাথলেটদের নিষিদ্ধ করার পর ফিফা ও উয়েফা এই সিদ্ধান্ত নেয়।
ফিফা ও উয়েফার এই সিদ্ধান্তের জন্য ক্লাব ফুটবলে খেলতে পারবে না স্পার্তাক মস্কো। ইউরোপা লিগের শেষ ষোলোর ড্রয়ে লাইপজিগকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে স্পার্তাক।। কিন্তু তারা আর মাঠে নামার সুযোগ পাবে না। ফলে লড়াই না করেই জার্মানের ক্লাব লাইপজিগ উঠে যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে।
আগামী ১০ ও ১৭ মার্চ ইউরোপা লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচ দুটি খেলার কথা ছিল স্পার্তাক মস্কোর। এখন খেলতে না পারার হতাশায় পুড়ছে ক্লাবটি।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এভাবে বহিষ্কার হওয়ায় হতাশা জানিয়ে স্পার্তাক মস্কো লিখেছে, ‘উয়েফা ও ফিফা এবারের ইউরোপা লিগ থেকে আমাদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর অর্থ, লাইপজিগের বিপক্ষে আমাদের শেষ ষোলোর ম্যাচ আর খেলা হচ্ছে না। ইউক্রেনে যা ঘটছে, তা নিয়ে সংস্থা দুটির অবস্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত এই সিদ্ধান্ত। উয়েফা ও ফিফার এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাশিত হলেও খুবই দুঃখজনক। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ইউরোপা লিগে আমাদের ক্লাব যে কষ্ট করেছে, সেটা খেলার পরিসীমার অনেক বাইরের কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
রাশিয়ার ক্লাবটির দাবি শুধু রাশিয়াতে নয়, সারা বিশ্বে আরো অনেক ভক্ত আছে তাদের। ক্লাবটি লিখেছে, ‘আমাদের ভক্ত শুধু রাশিয়া নয়, সারা বিশ্বে আছে। আমাদের সাফল্য ও ব্যর্থতা বিশ্বের অনেক দেশকে একত্র করে। আমরা বিশ্বাস করি, একদম কঠিন সময়েও খেলার কাজ সম্পর্ক সৃষ্টি করা, সম্পর্ক নষ্ট করা নয়। এমন সিদ্ধান্ত আমাদের মেনে নিতে হচ্ছে যেটার সঙ্গে আমরা একমত নই। আপাতত আমরা ঘরোয়া খেলার দিকে মনোযোগ দেব। আর আশা করব, খুব দ্রুত শান্তি ফিরে আসবে, সেটাই সবচেয়ে বেশি দরকার।’