বগুড়ায় ভেন্যু বাতিল, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি হিরো আলমের
আন্তর্জাতিক মর্যাদা হারানোর একযুগের মাথায় বিসিবির ভেন্যু তালিকায় থেকেও বাদ গেল বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে দেওয়া চিঠিতে জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রতি অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যার সুবাদে গত বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) ভেন্যু বাতিলের পাশাপাশি প্রত্যাহার করা হয়েছে জনবল।
আর এবার বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম থেকে জনবল প্রত্যাহারসহ ভেন্যু বাতিলের প্রতিবাদে মাঠে নেমেছেন অভিনেতা আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। আজ মঙ্গলবার (৭ মার্চ) শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে বিসিবির কার্যক্রম পুনর্বহাল ও খেলা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেন তিনি।
সেসময় হিরো আলম বলেন, যখন এই স্টেডিয়াম পড়ে থাকবে তখন এক শ্রেণির লোক এখানকার মাঠে জুয়ার বোর্ড বসাবে। মেলা করার চেষ্টা করবে, কোরবানি এলে গরুর হাট বসাবে৷ স্টেডিয়াম কি মেলা, হাট বা জুয়ার বোর্ড বসানোর জন্য?’
হিরো আলম আরও জানান, ‘সিন্ডিকেট চায় স্টেডিয়াম পড়ে থাকুক। তখন ওরা ৯৯ বছরের জন্য মাঠ লিজ নিয়ে যা ইচ্ছা তাই করবে। স্টেডিয়াম থেকে মালামাল ও কর্মকর্তাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া বগুড়াবাসীর জন্য লজ্জার। আমাদের স্টেডিয়ামের মালামাল ফিরিয়ে দেওয়া না হলে, আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।’
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে চিঠি পাঠিয়ে বিসিবি জানায়, গত কয়েক বছর ধরেই বোর্ডের ম্যাচ আয়োজনে অসহযোগিতা করছে বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থা। চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি বগুড়ায় নিয়োগপ্রাপ্ত বিসিবির ১৭ কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ক্লোজড করে মিরপুরে রিপোর্ট করতে বলা হয়। একই সঙ্গে কার্গোতে করে ঢাকায় নেওয়া হয় গ্রাউন্ড রক্ষণাবেক্ষণের যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে ইনডোরের নেট, ম্যাট সবকিছু।
এর আগে এই বিষয়ে, শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার জামিলুর রহমান জানিয়েছিলেন, ‘জেলা ক্রীড়া সংস্থায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। ক্যাভার্ড ভ্যানে করে বিসিবির সব মালামাল ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বিসিবির নিয়ন্ত্রণে থাকা স্টেডিয়ামটি এখন থেকে জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার মাধ্যমে জেলা ক্রীড়া সংস্থার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।’