বদলে যাওয়া এই তাসকিন যেন অনন্য!
গতি দিয়ে ক্যারিয়ারের শুরুতে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অভিষেক ম্যাচেই জানান দিয়েছিলেন, লম্বা রেসের ঘোড়া হতে চলেছেন তিনি। সেদিন তাঁর গতি দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলীয় ব্যাটাররাও। টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে অভিষেকেও ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়ে তারকা বনে যান এই বাংলাদেশি বোলার।
কিন্তু সময়ের সঙ্গে মুদ্রার উল্টো পিঠও দেখে ফেলেন তাসকিন। চোট আর ফর্ম খরায় এক সময় মনে হয়েছিল, তাসকিন বুঝি হারিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু দ্বিতীয়বার ফেরার গল্পে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, হারিয়ে যাননি, আরো শক্তিশালী হয়েই ফিরেছেন ডানহাতি এই পেসার।
প্রবাদে বলে—পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি। তাসকিনের বেলায় কথাটি পুরোপুরি সঠিক। দল থেকে যখন ছিটকে পড়েন তখন এই পরিশ্রমের মধ্যেই নিজেকে খুঁজে নেন তিনি। নিজেকে বদলে জন্ম দেন আরেক পরিণত বোলারে। তাঁর বলের গতি আর দক্ষতার সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে পরিণত ক্রিকেট-মস্তিষ্ক। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ দলের বোলিং ইউনিটের প্রাণ ভোমরা হয়ে উঠেছেন তাসকিন।
মুস্তাফিজুর রহমানকে ছাপিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়কের আস্থা এখন তামিম। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতেও দেখা গেল তাই। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৩৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট। আজ তৃতীয় ওয়ানডেতে ফের তাঁর বোলিং ঝলক। এবার নিলেন ৫ উইকেট। পাক্কা আট বছর ফের বোলিংয়ে ৫ উইকেটের দেখা পেলেন এই গতি তারকা।
২০১৪ সালে অভিষেকে ৫ উইকেটের পর আজ সেঞ্চুরিয়নে দ্বিতীয়বার পেলেন ৫ উইকেট। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ২০১২ সালের পর কোনো সফরকারী দলের বোলার হয়ে পেলেন ৫ উইকেট। সবশেষ এমন কীর্তি গড়েছিলেন শ্রীলঙ্কার হয়ে লাসিথ মালিঙ্গা। এ ছাড়া বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে পাঁচ উইকেট পেলেন তাসকিন।
আজ সেঞ্চুরিয়নে ৫ উইকেট নিতে তাসকিন দিয়েছেন ৩৫ রান। ফিরিয়ে দিয়েছেন ওপেনার মালান, কাইল ভারানে, ডেভিড মিলার, প্রিটোরিয়াস ও কাগিসো রাবাদার উইকেট। তাঁর দাপুটে বোলিংয়েই দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাত্র ১৫৪ রানে থামিয়েছে বাংলাদেশ।