বাংলাদেশের দুই নারী ক্রিকেটার ওমিক্রনে আক্রান্ত
কদিন আগেই বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। জিম্বাবুয়ে থেকে ফেরার পরপরই দুই নারী ক্রিকেটারের করোনায় আক্রান্তের খবর শোনা যায়। এবার আরও হতাশার খবর দিল নারী ক্রিকেট দল। জিম্বাবুয়ে ফেরত নারী দলের বহরে থাকা দুজনের শরীরে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
আজ রোববার রাজধানীর একটি হাসপাতালে সাংবাদিকদের খবরটি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৬২ দেশে পাওয়া গেছে ওমিক্রন। এটি খুব দ্রুত ছড়ায়। কিন্তু উপসর্গ মৃদু। আমাদের দুজন যে নারী ক্রিকেটার, তাঁদের শরীরে ওমিক্রন পাওয়া গেছে। তাঁদের আমরা কোয়ারেন্টিনে রেখেছি। তাঁরা সুস্থ আছেন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য যা যা দরকার, সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মাঝে মধ্যে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তাঁদের জ্বরের অবস্থা দেখা হচ্ছে।’
‘এটা দেখার জন্য আমাদের সময় লাগবে। আমরা দুই সপ্তাহ দেখব তাঁদের অবস্থা। পুরোপুরি সুস্থ হলে তাঁদের কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়তে পারব। তাঁদের সঙ্গে যাঁরা ছিলেন বা এসেছেন, আমরা সবার পরীক্ষা করেছি’, যোগ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
দেশে ওমিক্রনে আক্রান্ত শনাক্তের তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমও। এনটিভি অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের দুজন নারী করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। দুজনসহ আরও কয়েকজন জিম্বাবুয়ে থেকে নামিবিয়া হয়ে দেশে আসেন। তাঁদের কোয়ারেন্টিনে রেখে প্রথম নমুনা পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ আসে। দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করানো হলে দুজনের ওমিক্রন শনাক্ত হয়। এখন তাঁরা কোয়ারেন্টিনে আছেন। তাঁদের সংস্পর্শে যারা ছিলেন, তাঁদেরও কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তাঁদের শারীরিক অবস্থা ভালো।’
জিম্বাবুয়ে থেকে দেশে পা রেখেই বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে ছিল পুরো দল। ঢাকায় পা রেখে প্রথম পরীক্ষায় দুজন করোনা পজিটিভ হন। খবরটি জানায় বিসিবির মেডিকেল বিভাগ। তবে, তাঁদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। করোনায় আক্রান্ত দুই ক্রিকেটারকে আইসোলেশনে রাখা হয়। বাকি ক্রিকেটারদের হোটেলেই নিরাপদে রাখা হয়।
আক্রান্তদের শরীরে তখন করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ছিল কি না, সে ব্যাপারে জানা যায়নি। নারী দল দেশে ফেরার ১০ দিন পর জানা গেল ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার খবর।
এদিকে, প্রথমবার নারী বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। বাছাইপর্ব খেলতে তাঁরা আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়েতে গিয়েছিলেন। সেখানে শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। এরপর করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় আইসিসি বাছাইপর্বের খেলা বাতিল করে। র্যাঙ্কিং অনুযায়ী বাছাইপর্ব থেকে বিশ্বকাপের মূল দলের টিকেট পেয়ে যায় বাংলাদেশ। একই সুবিধা পেয়েছে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাছাইপর্ব বাতিল হওয়ার পর থেকে দেশে ফেরার জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয় নারী দলকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে ফ্লাইট বাতিল করার কারণে শিডিউল জটিলতায় পড়েছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। পরে চার্টার্ড ফ্লাইটে প্রথমে জিম্বাবুয়ে থেকে নামিবিয়া, পরে সেখান থেকে ওমানের রাজধানী মাসকাটে পৌঁছায় নারী ক্রিকেট দল। সেখান থেকে সরাসরি ফ্লাইটে ঢাকা এসে পৌঁছায় বাংলাদেশের নারী দল।