বাবরের ব্যাটে পাকিস্তানের প্রতিরোধ
উইকেটের সুবিধা কাজে লাগাতে টস জিতে ব্যাটিং নিতে ভুল করল না পাকিস্তান। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ সাবধানী ব্যাটিং শুরু করে বাবর আজমের দল। আগের ম্যাচের মতোই দুই ওপেনার আবিদ আলী এবং আব্দুল্লাহ শফিকের জুটি মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অবশেষে ১৯তম ওভারে এ জুটি ভাঙলেন তাইজুল ইসলাম। শফিককে ফিরিয়ে স্বস্তি ফেরালেন এ স্পিনার। শফিকের পর আবিদের প্রতিরোধও ভাঙেন তাইজুল। অভিজ্ঞ এ স্পিনারের জোড়া আঘাতে প্রথম সেশনে সমানে সমান লড়াই করল বাংলাদেশ। তবে লাঞ্চের পর দ্বিতীয় সেশনে অধিনায়ক বাবর আজমের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে পাকিস্তান।
প্রথম ৯ ওভার সামলেছেন বাংলাদেশের দুই পেসার—খালেদ আহমেদ ও ইবাদত হোসেন। দুজনে প্রথম স্পেলে তেমন কোনো পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি পাকিস্তানকে। প্রথম ৯ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৩৪ রান তুলেছে অতিথিরা। এরপর স্পিন আক্রমণ আনে বাংলাদেশ। নিজের প্রথম স্পেলে আশা জাগান সাকিব আল হাসান। তবে রিভিউ নিয়েও পারলেন না পাকিস্তানের শুরুর জুটি ভাঙতে। অবশেষে পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি ভাঙতে পেরেছেন তাইজুল।
১৯তম ওভারে ওয়াইড ক্রিজ থেকে লেংথ বল ভেতরে ঢোকান তাইজুল। শফিকের ব্যাটের ফাঁক দিয়ে বল আঘাত হানে অফ স্টাম্পে। ১১১ বলে ভাঙে ৫৯ রানের জুটি। ৫০ বলে ২৫ রান করে ফিরেছেন শফিক। একইভাবে ৩৯ রানে আবিদকে বিদায় করেন তাইজুল।
পাকিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচটির একাদশে তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে মুমিনুল হকের দল। দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান এবং খালেদ আহমেদ। আর, অভিষেক হয়েছে তরুণ ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের।
টানা ওপেনিংয়ে ব্যর্থতায় পরিবর্তন আসা অনুমিত ছিল। প্রথম ম্যাচের পর টাইফয়েডের কারণে দল থেকে ছিটকে গেছেন ওপেনার সাইফ হাসান। তাই, ভাগ্য খুলে গেল মাহমুদুলের। বাংলাদেশের ৯৯তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক ক্যাপ পড়লেন যুব বিশ্বকাপজয়ী মাহমুদুল। অবশ্য, ঘরোয়া ক্রিকেটে ওয়ানডাউনে ব্যাট করেন মাহমুদুল। তবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হলো ওপেনার হিসেবে।
আগের ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন ইয়াসির আলী রাব্বি এবং আবু জায়েদ রাহী। তাঁদের জায়গায় দলের ফিরেছেন সাকিব আল হাসান এবং পেসার খালেদ আহমেদ।
বিশ্বকাপে পাওয়া হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে এতদিন ক্রিকেটে থেকে দূরে ছিলেন সাকিব। চোট কাটিয়ে মিরপুর টেস্ট দিয়ে ফিরলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
অন্যদিকে, খালেদ বাংলাদেশ একাদশে ফিরেছেন আড়াই বছর পর। সবশেষ তিনি খেলেছেন হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, ২০১৯ সালের মার্চে।
বাংলাদেশ একাদশে তিন পরিবর্তন আনলেও পাকিস্তান একই একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছে। চট্টগ্রাম টেস্ট জেতা দলে কোনো পরিবর্তন আনেনি বাবর আজমের দল।