বেঙ্গালুরুকে থামিয়ে চেন্নাইয়ের জয়ের হাসি
জিততে হলে শেষ ওভারে তুলতে হতো ১৯ রান। ১০ রানের বেশি নিতে পারেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এতে আর শেষ ওভারে তীরে এসে তরি ডোবেনি মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের। আইপিএলে আরও একটি রানবন্যার ম্যাচে বেঙ্গালুরুকে ৮ রানে হারিয়েছে চেন্নাই। পেয়েছে চলতি আসরে নিজেদের তৃতীয় জয়।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) দিনের একমাত্র ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৬ রান তোলে চেন্নাই। জবাবে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে খুব কাছাকাছি গিয়েও ২১৮ রানে থামে বেঙ্গালুরুকে।
ঘরের মাঠ এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টসে জিতে চেন্নাইকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দেন মোহাম্মদ সিরাজ। ওয়েইন পারনেলের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান চেন্নাইয়ের ওপেনার রুতুরাজ গাইকোয়াড়কে (৩)। ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে অজিঙ্কা রাহানেকে সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতি সামলান আরেক ওপেনার ডেভন কনওয়ে। দুজনের জুটিতে আসে ৭৪ রান। হাসারাঙ্গা ডি সিলভার বলে বোল্ড হওয়ার আগে রাহানে খেলেন ২০ বলে ৩৭ রানের ঝলমলে ইনিংস।
রাহানে ফিরে গেলে শিভাম দুবেকে নিয়ে এবার ৮০ রানের জুটি গড়েন কনওয়ে। দলীয় ১৭০ রানে কনওয়েকে আউট করেন হার্শাল প্যাটেল। ততক্ষণে কনওয়ে খেলেন ৪৫ বলে ৮৩ রানে বিধ্বংসী ইনিংস। সমান ৬ টি চার ও ছক্কায় সাজানো ছিল ইনিংসটি। ২৭ বলে ৫২ রানের মারকুটে ইনিংস উপহার দিয়ে আউট হন দুবে। শেষ পর্যন্ত চেন্নাইয়ের ঝড় থামে ২২৬ রানে।
সবচেয়ে বড় ঝড়টি যায় বেঙ্গালুরুর বোলার বিজয়কুমার বিশ্বকের ওপর দিয়ে। ৪ ওভারে ৬২ রান দেন এই বোলার। বেঙ্গালুরুর হয়ে ১ টি করে উইকেট পান সিরাজ, সিলভা, প্যাটেল।
২২৭ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই কোহলিকে (৬) হারায় বেঙ্গালুরু। তাকে বোল্ড করেন আকাশ সিং। ১৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর ম্যাচের হাল ধরেন ডু প্লেসিস ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ঘরের দর্শকদের চার ছক্কায় মাতান দুই তারকা ব্যাটার। তৃতীয় উইকেট জুটিতে গড়েন ৬১ বলে ১২৬ রানের জুটি। দলীয় ১৪১ রানে রানে ম্যাক্সওয়েলকে ধোনির ক্যাচ বানিয়ে জুটি ভাঙেন মাহিশ থিকসানা। আউট হওয়ার আগে ম্যাক্সওয়েল ৩ চার ও ৮ ছয়ে ৩৬ বলে ৭৬ রানের টর্নেডো বইয়ে দেন চেন্নাইয়ের বোলারদের উপর।
এরপর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি ডু প্লেসিসও। ৫ চার ও ৪ ছয়ে ৩৩ বলে ৬২ রান করে আউট হন তিনি। তাকে ধোনির ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান মঈন আলি। দুই সেট ব্যাটারের আউটের পর ১৪ বলে ২৮ রানের ক্যামিও খেলে তুষার দেশপান্ডের বলে আউট হন দিনেশ কার্তিক।
কার্তিকের আউটের পর লেজের ব্যাটাররা শেষ পর্যন্ত দলকে জেতাতে ব্যর্থ হয়। ২১৮ রানে থেমে গিয়ে বেঙ্গালুরু হার মানে ৮ রানে। চেন্নাইয়ের হয়ে দেশপান্ডে ৩ টি ও পাথিরানা নেন ২ টি উইকেট।
এই জয়ে ৫ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে চেন্নাই। ৫ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সাতে অবস্থান করছে বেঙ্গালুরু।