বেটিং সাইটের সঙ্গে সাকিবের চুক্তি, সমাধানের চেষ্টায় বিসিবি
বেটিং সংস্থা বেট উইনার নিয়ে এসেছে নতুন ওয়েবসাইট। যার নাম বেটউইনার নিউজ ডটকম। নতুন এই ওয়েবসাইটের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তি করেছেন বাংলাদেশের তারকা সাকিব আল হাসান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে সাকিব নিজেই সেটা ঘোষণা করেছেন। কিন্তু বেটউইনারের সঙ্গে সাকিবের চুক্তির ঘোষণার পরপরই উঠছে নানা প্রশ্ন। কেননা, বাংলাদেশের নিয়ম অনুসারে, বেটউইনার তথা জুয়ার কোনো প্রতিষ্ঠানের যুক্ত হওয়া যাবে না। তাই সাকিবের চুক্তির ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে সমাধানের চেষ্টায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
নিজের নতুন চুক্তি কদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দেন সাকিব। এক পোস্টে বাংলাদেশি তারকা লিখেছেন, ‘বেটউইনার নিউজের সঙ্গে আমার অফিসিয়াল চুক্তির বিষয় আমি গর্ব সহকারে জানাতে চাই। বেটউইনার নিউজ খেলার তথ্যের অন্যতম এক মাধ্যম। আপনারা যদি বর্তমানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চান এবং খেলার বিশ্লেষণ কিংবা হাইলাইটস পেতে চান তবে বেটউইনার নিউজ আপনার জন্য ইন্টারনেটে বেটউইনার নিউজ খুঁজে নেন।’
ক্রীড়াভিত্তিক কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সাকিব চাইলে যুক্ত হতেই পারেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সাইটটি বেটউইনার নিউজ হচ্ছে বেটউইনার ডটকমের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। আর এই বেটউইনার হচ্ছে অনলাইনে জুয়া খেলার মাধ্যম। এর মাধ্যমে যে কোনো ব্যক্তি চাইলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, ফুটবল থেকে শুরু করে যে কোনো খেলা নিয়েই জুয়া খেলতে পারেন।
বাংলাদেশের আইন ও বিসিবির রীতি অনুযায়ী জুয়া জাতীয় যে কোনো খেলাই দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই জুয়ার কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সাকিবের যুক্ত হওয়াটাও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
এ বিষয়ে সাকিবের সঙ্গে আলোচনা করে বেট উইনার নিউজের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছে বিসিবি। মূলত সাকিবকে এই চুক্তি থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় বিসিবি।
এ ব্যাপারে আজ সোমবার সাংবাদিকদের সামনে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘আমরা এটা মানছি না বলেই তাকে জানানো হয়েছে। আমরা তাকে জানিয়েছি, সে আমাদের খেলোয়াড়, সেও বুঝবে বিষয়টা। এরকম বিতর্কিত বিষয়ে কেউ জড়িত হতে চায় না। অজান্তে হোক বা জেনেই হোক, হয়তো ভুলও হতে পারে। আমরা এটা সমাধান করার চেষ্টা করছি, আশা করি সমাধান হয়ে যাবে।’
জালাল ইউনুস আরো বলেন, ‘একটা তো ইস্যু হয়েছে। এটা নিয়ে তার সঙ্গে আমরা যোগাযোগে আছি। তার সাথে কয়েকবার আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। যেহেতু এটা ইস্যু, আমাদের সমাধান করা দরকার। সমস্যার সমাধানের জন্য তার সঙ্গে আলাপ করছি। দুয়েকদিনের মধ্যে আপনারা জানতে পারবেন। যাই হোক না কেন, আমরা অবশ্যই এ ধরনের বেটিংয়ে জিরো টলারেন্স শো করি। তার সংশ্লিষ্টতা এখানে দেখা যাচ্ছে যে, কোনও একটা কোম্পানির অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার একটা চুক্তি হয়েছে। তাকে আমরা সেটা জানিয়েছি এবং সে জানে ব্যাপারটা। যত শিগগিরই সম্ভব আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।’