ব্যাটিংয়ে সাফল্য পাওয়ার রহস্য জানালেন রশিদ খান
বল হাতে রশিদ খানের চমক প্রায়ই দেখা যায়। লেগ স্পিনে নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিয়ে হয়ে উঠেছেন সেরাদের একজন। কিন্তু সেই রশিদ খান এখন আর শুধু বোলার নেই। ব্যাটিংও দেখাচ্ছে প্রতিভার ছাপ। এমনকি ব্যাটিং ঝলকে দলকে উপহার দিচ্ছেন ম্যাচ জেতানো ইনিংস। হঠাৎ এই অলরাউন্ডার বনে যাওয়ার রহস্যটা কী?
আইপিএলে গতকাল বুধবার রাতে গুজরাট টাইনটানসকে জিতিয়ে সেই রহস্য নিজেই জানালেন রশিদ খান। জানালেন, নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস ছিল বলেই এই শেপে তিনি আসতে পেরেছেন। নিজের ব্যাটিংয়ে ভরসা রেখেই সফল হয়েছেন এই আফগান তারকা।
আইপিএলে গতকাল বুধবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে জয় পায় গুজরাট।
ম্যাচটিতে ১৯৫ রান তাড়া করে এ জয় তুলতে শেষ দিকে খুব কঠিন সমীকরণ ছিল গুজরাটের সামনে। শেষ দিকে ৪ ওভারে তাদের দরকার হয় ৫৬ রান। তখনই ব্যাট হাতে নামেন রশিদ খান। রাহুল তেওয়াতিয়ার সঙ্গে জুটি বেধে শেষ দলকে জয় এনে দেন আফগান তারকা। এ জুটিতে ২৪ বলে আসে ৫৯ রান।
শেষ ওভারে ৬ বলে দরকার ছিল ২২ রান। দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার মার্কো ইয়ানসেনের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকানোর পর সিঙ্গেল নিয়ে রশিদকে স্ট্রাইকে পাঠান তেওয়াতিয়া। এরপর বাকি কাজ সারেন রশিদ একাই। স্ট্রাইকে গিয়ে ওভারের তৃতীয় বলেই হাঁকান ছক্কা। পরের বলে অবশ্য রান নিতে পারেননি। এরপর সমীকরণ দাঁড়ায় দুই বলে ৯ রান। তার জন্য শেষ দুই বলে ছক্কা মেরে দারুণ জয় এনে দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১১ বলে ৪ ছক্কায় ৩১ রানের ইনিংসে উপহার দেন রশিদ।
ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে রশিদ বললেন, ‘অনেক ভালো লেগেছি। ব্যাপারটি ছিল সঠিক মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামা ও আত্মবিশ্বাস রাখা। নিজের শেপ ঠিক রেখে শট খেলা। ওদের বিপক্ষে (নিজের সাবেক দল) এমন কিছু করতে পেরে আমি খুশি, তবে আমি নিজের খেলাটাই খেলার চেষ্টা করছিলাম এবং নিজের ব্যাটিংয়ে ভরসা করছিলাম, যেটি নিয়ে আমি বছর দুয়েক ধরে কাজ করছি।’
কাল অবশ্য বল হাতে ভালো করতে পারেননি রশিদ। তবে ভুল শুধরে বোলিংয়েও আরো ধারালো হওয়ার আভাস তাঁর, ‘যতটা ভালো বোলিং করা উচিত ছিল, ততটা পারিনি। চার-পাঁচটি বাজে ডেলিভারি করেছি, যেটির খেসারত দিতে হয়েছে। এই ধরনের উইকেটে লাইন-লেংথ ভুল করা যাবে না। কিন্তু ভুল করে ফেলেছি। ভালো বোলিং করিনি। আমার শেখার জন্য এটি ছিল ভালো অভিজ্ঞতা। অবশ্যই চেষ্টা করব পরের ম্যাচে ভুলগুলির পুনরাবৃত্তি না করতে।’