ব্যাটিং দুর্দশায় ২১৭ রানেই শেষ বাংলাদেশ
পোর্ট এলিজাবেথে টেস্টের দ্বিতীয় দিনেই বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার শক্ত পুঁজির বিপরীতে ব্যাট করতে নেমে দ্রুতই হারিয়ে ফেলে টপঅর্ডার ব্যাটারদের। তাতে আজ রোববার তৃতীয় দিন যে মুমিনুলদের জন্য কঠিন কিছু অপেক্ষা করছিল সেটা বোঝাই যাচ্ছিল। মূল লড়াইয়ে হলোও তাই।
টেস্টের তৃতীয় দিন আজ লড়াইয়ে নেমে কিছুটা আশা দেখান মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলী রাব্বি। এই জুটি ফিরলে বাংলাদেশের সব আশা শেষ হয়ে যায়। ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ২১৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় মুমিনুল হকের দল।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ফলোঅনও এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ফলোঅন এড়াতে আরো ৩৭ রান করতে হতো সফরকারীদের। কিন্তু সেটা করতে পারল না মুমিনুল হকের দল। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ থেকে ২৩৬ রানে এগিয়ে থাকল দক্ষিণ আফ্রিকা।
৩১৪ রানে পিছিয়ে থেকে আজ টেস্টের তৃতীয় দিন শুরু করে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে কিছুটা আশা দেখায় আগের দিন থিতু হওয়া মুশফিক ও ইয়াসিরের জুটি। কিন্তু জমে ওঠার আগেই জুটি ভাঙেন কেশব মহারাজ।
প্রোটিয়া তারকার করা ডেলিভারিতে ফ্লিক করার চেষ্টা করেন ইয়াসির। কিন্তু ডেলিভারি ব্যাটের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ যায় বোলারের কাছেই। মহারাজ সেটা লুফে নিয়ে ইয়াসিরকে সাজঘরের পথ দেখান। ৮৭ বলে ৪৬ রান করে ফেরেন ইয়াসির, ভাঙে ৭০ রানের জুটি।
ইয়াসির ফেরার পর প্রতিপক্ষকে উইকেট উপহার দেন মুশফিক। ম্যাচের এত কঠিন পরিস্থিতি দেখেও তিনি খেলে ফেললেন আত্মঘাতী শট। সাইমন হার্মারের ফুল লেংথ বলে রিভার্স সুইপ করার চেষ্টা করেন মুশফিক। ব্যাটের নিচ দিয়ে বল গিয়ে লাগে স্টাম্পে। ১৩৬ বলে ৫১ রানে আউট মুশফিক। মুশফিকের আউটের সঙ্গে সঙ্গে আশাও শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের।
শেষ দিকে মিরাজ-তাইজুলরাও পারলেন না হাল ধরতে। ফলে ফলোঅনও এড়াতে পারল না বাংলাদেশ। থেমে গেল মাত্র ২১৭ রানে।
দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ৪৫৩ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেছেন কেশব মহারাজ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭০ রান করেছেন ডিন এলগার।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ১৩৫ রান দিয়ে ছয় উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। এই নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে দশমবার এক ইনিংসে ৫-এর বেশি উইকেট নেওয়ার স্বাদ পেলেন তাইজুল। এর মধ্যে দেশের বাইরে ৫ উইকেট নিলেন তৃতীয় বার। তাঁর সঙ্গে খালেদ আহমেদ নিয়েছেন তিনটি উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস : ১৩৬.২ ওভারে ৪৫৩ (এলগার ৭০, এরউইয়া ২৪, পিটারসেন ৬৪, বাভুমা ৬৭, রিকেলটন ৪২, ভেরাইনা ২২, মুল্ডার ৩৩, মহারাজ ৮৪, সিমন ২৯, উইলিয়ামস ১৩, অলিভার ০; তাইজুল ১৫০-১০-১৩৫-৬, ইবাদত ২৮-৩-১২১-০, মিরাজ ২৬.২-৪-৮৫-১, খালেদ ২৯-৬-১০০-৩ )।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ৭৪.২ ওভারে ২১৭/১০ (মাহমুদুল ০, তামিম ৪৭, শান্ত ৩৩, মুমিনুল ৬, মুশফিক ৫১, লিটন ১১, ইয়াসির ৪৬, মিরাজ ১১, তাইজুল ৫, ইবাদত ০, খালেদ ০; মহারাজ ২৪-৬-৫৭-২, অলিভার ১৫-৪-৩৯-২, উইলিয়ামস ১২-২-৫১-০, সিমন ১০.২-১-৩৯-৩, মুল্ডার ১৩-৭-২৫-৩)।