ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ম্যাচটি নিয়ে তদন্ত শুরু
কোয়ারেন্টিন ইস্যুতে স্থগিত হয়ে যায় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ। সাইডলাইনে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় এবং ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়ে তুলকালাম অবস্থা বেঁধে ম্যাচটি বন্ধ হয়ে যায়। ম্যাচটির ভবিষ্যৎ কী, সেটাও অজানা।
এদিকে, সাও পাওলোতে হয়ে যাওয়া ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানায় ফিফা।
ফিফার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মধ্যে ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ সম্পর্কিত অফিসিয়াল ম্যাচ রিপোর্ট বিশ্লেষণের পর ফিফা নিশ্চিত করছে যে, উভয় সদস্য সংস্থার সঙ্গে তদন্তু শুরু করা হয়েছে। দুই দলকে ম্যাচ স্থগিত হওয়ার কারণ সম্পর্কে আরও তথ্য দিতে বলা হয়েছে, যা ফিফার শৃঙ্খলা কমিটি সংগ্রহ করবে এবং এরপর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করবে।’
কোয়ারেন্টিন ইস্যুকে কেন্দ্র করে মূল কাণ্ডটা ঘটে। এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া, জিওভান্নি লো সেলসো, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো—এ চার খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে কোয়ারেন্টিন না মানার অভিযোগ আনে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য বিভাগ। এরপর ম্যাচ চলাকালীন ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মাঠে ঢুকে যাওয়ায় এক পর্যায়ে ম্যাচটি স্থগিত হয়ে যায়।
এরপর ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ম্যাচে ঘটে যাওয়া কাণ্ড নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ফিফা জানিয়েছে, তদন্তের পর ম্যাচটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গোল ডটকমের প্রতিবেদন অনুসারে ফিফা বিবৃতিতে বলেছে, ‘২০২২ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার বিষয়টি নিয়ে ফিফা ব্যথিত। পাশাপাশি এই কাণ্ডে বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি ফুটবল ভক্ত ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ দলের খেলা দেখা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় ফিফা দুঃখিত। এই ম্যাচের আনুষ্ঠানিক রিপোর্ট ফিফার কাছে এসে পৌঁছেছে। এই তথ্যগুলো ফিফার প্রতিযোগিতা আয়োজক কমিটি খতিয়ে দেখবে এবং যথাসময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’