বড় লক্ষ্যের পেছনে ছুটছে জিম্বাবুয়ে
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় ওভারেই স্বাগতিকদের ওপেনিং জুটি ভেঙেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ফিরিয়ে দিয়েছেন ওপেনার টাডিওয়ানাশে মারুমানি। মুস্তাফিজের বল টেনে খেলার চেষ্টায় ব্যাটে লাগান তিনি, কিন্তু টাইমিং ঠিক হয়নি। মিপ মিডউইকেট সীমানা থেকে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ নিয়ে নিয়েছেন সৌম্য সরকার।
তবে শুরুর ধাক্কা সামলে বেশ ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় উইকেটে শক্ত জুটি গড়ে তোলে স্বাগতিকরা। দলীয় ৭৪ রানে মাধেভেরেকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। ২৩ বলে ২৩ রান করেন মাধেভেরে। এরপর আরো উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৪৩ রান।
একমাত্র টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে জয়ের স্বস্তি নিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। হারারের স্পোর্টস ক্লাবে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি বাংলাদেশের শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
২০০৬ সালে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে পথচলা শুরু হয়। সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই আজ এই ফরম্যাটে নিজেদের ১০০তম ম্যাচ খেলছে লাল সবুজের দল।
নিজেদের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪৩ রানের জয় দিয়ে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার আরেকবার জয়ে রাঙাতে মুখিয়ে আছে মাহমুদউল্লাহর দল।
এর আগে ওয়ানডে ও টেস্টে নিজেদের ১০০তম ম্যাচ জয় দিয়ে রাঙিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০০৪ সালে খেলেছিল শততম ওয়ানডে। ওইম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ১৫ রানে জিতেছিল লাল-সবুজরা। অন্যদিকে টেস্টে শততম ম্যাচ খেলে শ্রীলঙ্কার মাটিতে। ২০১৭ সালে কলম্বোর পি সারা ওভালে সেটিতেও জিতেছিল বাংলাদেশ।
পারিবারিক কারণে টি-টোয়েন্টি সিরিজে নেই মুশফিকুর রহিম। চোটের জন্য ছিটকে গেছেন তামিম ইকবালও। নির্ভরযোগ্য দুই ব্যাটসম্যানকে ছাড়াই এই ফরম্যাটে লড়বে বাংলাদেশ।
অবশ্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে কখনও হারেনি বাংলাদেশ। পাঁচ সিরিজের দুটিতে জিতেছে লাল-সবুজরা, অন্য তিনটি ড্র হয়েছে।
তবে এটাও সত্য টি-টোয়েন্টিতে বর্তমানে সময়টা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশের। সবশেষ ১০ ম্যাচে জয় কেবল তিনটি। তাই জিম্বাবুয়ের মাটিতে টেস্ট ও ওয়ানডেতে জয়ের পর এবার টি-টোয়েন্টিতে জিততে মরিয়া মাহমুদউল্লাহরা।