‘ভারতকে যা ইচ্ছা করতে দিচ্ছে আইসিসি’
আহমেদাবাদের স্টেডিয়ামে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের মধ্যকার টেস্টের দ্বিতীয় দিন উইকেটে টিকে থাকাই ছিল বড় কঠিন। শেষ পর্যন্ত দুদিনেই ফল চলে আসে টেস্টের। ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে ম্যাচটি জিতে নেয় ভারত। তবে ম্যাচ শেষ হলেও আহমেদাবাদের পিচ নিয়ে সমালোচনা চলছে ক্রিকেট মহলে।
অনেকেই নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। উইকেটের কড়া সমালোচনা করেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন। আহমেদাবাদের উইকেটকে ‘জঘন্য’ বলার পাশাপাশি আইসিসিকেও দায় দিচ্ছেন ভন।
গোলাপি বলের টেস্টে দুদিন মিলিয়ে উইকেট পড়েছে ৩০টি। যার মধ্যে ২৮টিই পেয়েছেন স্পিনাররা। ভারতের বুমরাহ-ইশান্ত শর্মা এবং ইংল্যান্ডের জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রড, জফরা আর্চাররা কোনো রকম সফলতা পাননি। উইকেটে টিকে থাকতেই পরীক্ষা দিতে হয়েছে ব্যাটসম্যানদের। দুই ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ১১২ ও ৮১ রানে। অন্যদিকে ভারত প্রথম ইনিংসে করেছে মাত্র ১৪৫ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে লক্ষ্য কম ছিল বলে ৪৯ রানে থামতে হয়েছে।
এমন উইকেট নিয়ে ভন ইংল্যান্ডের দৈনিক সংবাদপত্র দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফে নিজের কলামে লিখেছেন, ‘ভারত তৃতীয় টেস্টটা দশ উইকেটে জিতেছে। কিন্তু এটা খুবই ভাসা-ভাসা এক জয়। সত্যি বলতে, এই ম্যাচে কোনো দলই জয় পায়নি।’
এরপর ইংলিশ তারকা লিখেছেন, ‘যতদিন ভারতের মতো শক্তিশালী দেশগুলো এমনসব কাণ্ড করে পার পেয়ে যাবে, ততদিন নখদন্তহীনই থেকে যাবে আইসিসি। তারা ভারতকে যা খুশি তা-ই করতে দিচ্ছে। এতে টেস্ট ক্রিকেটেরই ক্ষতি হচ্ছে। এসব কারণে ব্রডকাস্টাররা অর্থও ফেরত চাইতে পারে। কারণ তারা খেলোয়াড়দের ব্যর্থতার কারণে ম্যাচ আগে শেষ হওয়া মেনে নেয়। কিন্তু স্বাগতিক বোর্ডের এমন পিচ বানানো মানার কারণ নেই। তাদের এখন তিনদিন বেকার বসে থাকতে হবে, কিন্তু এর অর্থ ঠিকই দিতে হবে। তারা অবশ্যই খুশি হবে না এবং টেস্টের জন্য বেশি অর্থ দেওয়ার আগে দুবার ভাববে।’
এর আগে মাইকেল ভন টুইট করেছেন, ‘আকর্ষণীয় ক্রিকেট। কিন্তু, টেস্ট ক্রিকেটের জন্য এটা অত্যন্ত খারাপ একটা পিচ। দ্বিতীয় দিনে ব্যাপারটা পুরো লটারি হয়ে গিয়েছিল।’
পিচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার যুবরাজও। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘দুদিনে খেলা শেষ হয়ে গেল! জানি না, এটা টেস্ট ক্রিকেটের জন্য ভালো বিজ্ঞাপন কি না। এই ধরনের উইকেটে যদি অনিল কুম্বলে আর হরভজন সিং বল করতেন, তা হলে তাঁদের কত উইকেট হতো? এক হাজার ও ৮০০? যাই হোক, অভিনন্দন অক্ষর। কী দারুণ স্পেল। অভিনন্দন অশ্বিন।’