ভূমিকম্পে প্রাণ হারালেন তুরস্কের গোলরক্ষক
যতই সময় গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা। নিহতের সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার ছুঁই ছুঁই। নিহতদের তালিকায় এবার যোগ হয়েছে ক্রীড়াঙ্গনের মানুষেরাও। স্মরণকালের ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছেন তুরস্ক গোলরক্ষক আহমেত ইউপ তুরকাসলান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, ভূমিকম্পের পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তুরস্কের দ্বিতীয় বিভাগের দল ইয়ানি মালাতইয়াসপরে খেলা এই গোলরক্ষক। পরে ধ্বংস্তুপ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে উদ্ধারকর্মীরা। ক্লাবের পক্ষ থেকে তার মৃত্যুর বিষয়টি এক বিবৃতির মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়।
টুইটারে তুরকাসলানকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মালাতইয়াসপর থেকে জানানো হয়, ‘আমাদের গোলরক্ষক তুরকাসলান আর আমাদের মাঝে নেই। ভূমিকম্পে তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। শান্তিতে ঘুমাও তুরকাসলান। আমরা তোমাকে কখনো ভুলব না।’
এর আগে ধ্বংস্তুপের নিচে আটকে থাকা ঘানার ফুটবলার ক্রিস্টিয়ান আতসুকে জীবিত উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকর্মীরা। এরপরই চিকিৎসার জন্যে আতসুকে নেয়া হয় হাসপাতালে। ধ্বংস্তুপের নিচে চাপা পড়ার কারণে তার ডান পায়ে চোট লেগেছে। পাশাপাশি তার শ্বাসকষ্টেও সমস্যা হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছে ফুটবল ভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গোল ডটকম।
৩১ বছর বয়সী ঘানার এই ফুটবলার তুরস্কের যে ভবনে ছিলেন সেটি ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর ভেঙে পড়ে। দলের বাকি সদস্যদের খোঁজ মিললেও, নিখোঁজ ছিলেন আতসু। আতসুকে জীবিত উদ্ধারের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পরই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব নিউক্যাসল ইউনাইটেড আতসুর দ্রুত সুস্থতা কামনা করে একটি টুইট করে। শেষ পর্যন্ত এই ফুটবলার জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হওয়ায় স্বস্তি ফিরল ফুটবল মহলে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানায়, রিখটার স্কেলে ৭.৮ মাত্রার এই ভূমিকম্প স্থানীয় সময় গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবারাত ৪টা ১৭ মিনিটে আঘাত করে। তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ শহরের কাছে ছিল ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল আর এর গভীরতা ছিল ১৭.৯ কিলোমিটার। ওই এলাকা জুড়ে তৈরি হওয়া ভূকম্পন রাজধানী আঙ্কারা এবং তুরস্কের অন্যান্য শহর থেকেও অনুভূত হয়।