ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার বার্তা নতুন অধিনায়কের
ক্রিকেট মাঠে বেশ আগ্রাসী মনোভাব দেখা যায় নুরুল হাসান সোহানের। উইকেটের পেছনে থেকে নানাভাবে সতীর্থদের উৎসহ দেন তিনি। প্রতিপক্ষের প্রতিও আগ্রাসী থাকেন। এবার অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনেও সোহান তেমনভাবেই ভরডরহীন ক্রিকেটার খেলার বার্তা দিলেন।
আসন্ন জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন সোহান। বিশ্রামের আদতে মাহমুদউল্লাহকে সরিয়ে দিয়ে সোহানকে দায়িত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নেতৃত্ব পাওয়ার পর আজই প্রথম সংবাদ সম্মেলনে হাজির হলেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার। সেখানেই জানালেন সিরিজ ও নতুন দায়িত্ব নিয়ে নিজের ভাবনার কথা।
অধিনায়ক জানালেন, নতুন দায়িত্ব পেয়ে আবেগে ভাসছেন না তিনি। তাঁর ভাষায়, ‘আমার জীবনে এই প্রত্যাশা আর আবেগ খুব কম। ফল বা অতীত নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করি না। অনেক দিন ধরেই আমি এটা করতে পারছি। আমার মনে হয়, এসব খুব একটা সমস্যা করবে না। এ ছাড়া আমার কাছে মূল যে জিনিসটা মনে হয়, ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই চেষ্টা করব, যেন এটা করতে পারি। আগে থেকে ভেবে নিলে প্রক্রিয়া ঠিক থাকে না। আশা করি, প্রক্রিয়াটা ধরে রাখতে পারব। আগে থেকে ফল নিয়ে চিন্তা করলে অনেক সময় প্রসেসটা ঠিক থাকে না। আমার কাছে মনে হয়, ভয়ডরহীন থাকলে ইতিবাচক ব্যাপার হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে।’
এ ছাড়া পূর্ববর্তী অধিনায়কদের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথাও বললেন সোহান, ‘আমি মাহমুদউল্লাহ ভাইয়ের অধীনে খেলে অনেক কিছু শিখেছি। সবার কাছ থেকেই শিখেছি। কিন্তু সবাই আলাদা ব্যক্তিত্ব। আমি আশা করি, সবার কাছ থেকে নেওয়া অভিজ্ঞতার সমন্বয় নিয়ে কাজ করতে চাই। বাংলাদেশ ক্রিকেটে আমাদের সিনিয়রদের অবদান এক-দুই কথায় বলে শেষ করা যাবে না। তাঁরা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে একটা জায়গায় নিয়ে এসেছেন। এখন আমাদের জন্য সুযোগ সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।’
সোহান চান সতীর্থরা যার যার জায়গা থেকে যেন সেরাটা দেন। তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই সবার ক্ষেত্রে আলাদা। একজনের সঙ্গে আরেকজনের মেলানো কঠিন। আমি সবার কাছ থেকে এটাই চাইব, যেন যে যার জায়গা থেকে শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করি। এমন না যে শতভাগ দিলেই সফল হব। এখানে প্রসেসটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবাই যদি শতভাগ দিয়ে মন থেকে চেষ্টা করি, ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু হবে।’