মঈন ঝড়ে মুশফিকদের কঠিন লক্ষ্য দিল কুমিল্লা
আগের ম্যাচেই সিলেট সানরাইজার্সকে হারিয়ে চলমান বিপিএলের প্লে-অফের টিকেট পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। এবার সেরা দুইয়ে থাকার লক্ষ্যে মাঠে নেমে ব্যাট হাতে দারুণ খেলছে তারা। লিটন দাসের উড়ন্ত শুরুর পর ঝড় তুলেছেন কুমিল্লার বিদেশি তারকা মঈন আলী। উইকেটে থেকে যেন ছক্কার বৃষ্টি নামালেন ইংলিশ তারকা। নয় ছক্কায় উপহার দিলেন ৭৫ রানের দারুণ ইনিংস। মঈনের ব্যাটিং ঝড়ে খুলনা টাইগার্সকে ১৮৯ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে ইমরুল কায়েসের দল।
বিপিএলের ২৭ তম ম্যাচে আজ শুক্রবার আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১৮৮ রান তোলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। এই ম্যাচটি কুমিল্লার খুব বেশি জন্য চিন্তার না হলেও খুলনার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের শেষ ম্যাচে হেরে যাওয়ায় প্লে-অফের সমীকরণ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে খুলনার। তাই আজ কুমিল্লার বিপক্ষে জয় চাই মুশফিকুর রহিমদের।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে ফিল্ডিং নেয় খুলনা। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার লিটন দাস ও মাহমুদুল হাসানের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা করে কুমিল্লা। শুরু থেকেই মারকুটে ছিলেন লিটন। মাহমুদুল হাসানকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে লিটন তোলেন ৪৩ রান। মাহমুদুলকে ১১ রানে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন নাবিল সামাদ।
মাহমুদুলের কিছুক্ষণ পর ফেরেন লিটন দাস। তবে উইকেটে থেকে মাত্র ১৭ বল খেলেও ৪১ রানের দারুণ ইনিংস উপহার দেন ডানহাতি এই ওপেনার। তাঁর ইনিংসে ছিল চার বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কা।
ওপেনিং জুটির পর মিডল অর্ডারে আরেকটি চমৎকার জুটি পায় কুমিল্লা। চতুর্থ উইকেটে ফাফ দু প্লেসির সঙ্গে শক্ত জুটি বাধেন মঈন আলী। এই দুজনে মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৮৩ রান।
ক্রিজে এসে কিছুটা মন্থর শুরু করেন দু প্লেসি। কিন্তু আরেক প্রান্তে থাকা মঈন আলী উইকেটে এসেই ঝড় তোলেন। মাত্র ২৩ বলে ছক্কা মেরে তুলে নেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি। ব্যক্তিগত পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত ৭৫ রানের ইনিংস উপহার দেন ইংলিশ তারকা। মাত্র ৩৫ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল ৯ টি ছক্কা ও একটি বাউন্ডারি। তাঁর সঙ্গে ডু প্লেসি করেন ৩৮ রান। এই দুই বিদেশি তারকার ব্যাটেই বড় পুঁজি পেয়ে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস : ২০ ওভারে ১৮৮/৬ ( লিটন ৪১, মাহমুদুল ১১, ইমরুল ৫, ডু প্লেসি ৩৮, মঈন ৭৫, সুনিল ০, মাহিদুল ১২,আবু হায়দার ১; খালেদ ৪-০-৩৭-১, নাবিল ৪-০-২৪-১, রুহেল ৩-০-২৫-০, পেরেরা ৩-০-২৮-২, সৌম্য ২-০-৩১-১, মেহেদী ৪-০-৪০-১)।