মালানের ব্যাটে ইংল্যান্ডের প্রতিরোধ
লক্ষ্যটা বড় নয়। জিততে হলে ইংল্যান্ডকে করতে হবে মাত্র ২১০ রান। এই রান তাড়ায় শুরুতেই ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। ইংলিশদের তিন টপ অর্ডার ব্যাটার জেসন রয়, জেমস ভিন্স ও সল্টের উইকেট তুলে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলাম। দুই স্পিনার মিলে চাপে ফেলেন ইংল্যান্ডকে।
এরপর ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। তিনি বিদায় করেন অধিনায়ক জস বাটলারকে। মিরাজ বিদায় করেন উইল জ্যাকসকে। তবে দ্রুত উইকেট হারিয়ে ডেভিড মালানের ব্যাটে ঠিকই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইংল্যান্ড। মঈন আলি ও মালানের ব্যাটে চড়ে ৩২ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ১২০ রান তুলেছে ইংল্যান্ড।
এর আগে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৭.২ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১০ উইকেটে ২০৯ রান তুলেছে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেছেন শান্ত।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝোড়ো শুরুর আভাস দেন তামিম ইকবাল। তাঁর সঙ্গে থাকা লিটন দাস ইংলিশ বোলারদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। থিতু হওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে পঞ্চম ওভারেই ফেরেন তিনি।
ক্রিস ওকসের ওই ওভারের চতুর্থ বলে স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা হাঁকান লিটন। পরের বলেই হয়ে যান আউট। ইংলিশ তারকার লেন্থ বলটি ডিফেন্স করতে যান তিনি। তবে সুইং করে বল গিয়ে আঘাত হানে পেছনের পায়ে। এলবির ফাঁদে পড়ে ৭ রানেই বিদায় নেন ডানহাতি ওপেনার। ৩৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
লিটনের ফেরার পরও আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের আভাস দেন তামিম। কিন্তু তাঁর স্টাম্প উড়িয়ে প্রতিরোধ ভাঙেন মার্ক উড। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে উডের ১৪৭ কিলোমিটার গতির বলে এলোমেলো হয়ে যায় তামিমের স্টাম্প। ৪ বাউন্ডারিতে ৩২ বলে ২৩ রান করে বিদায় নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। প্রথম ১০ ওভারে দুই উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৫৪ রান তোলে বাংলাদেশ।
দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। বিপিএল জুড়ে রান করা শান্ত নিজের ফর্ম ধরে রাখেন আন্তর্জাতিক মঞ্চেও। তবে বেশ মন্থর গতিতে ছুটতে থাকেন। ৬৭ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটাই শান্তর প্রথম হাফসেঞ্চুরি।
তবে হাফসেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি শান্ত। ব্যক্তিগত ৫৮ রানে ভাঙে তাঁর প্রতিরোধ। আদিল রশিদের গুগলি লেগ সাইড দিয়ে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় জেসন রয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। শান্তর আগে মুশফিক ও সাকিবও ফিরে যান দ্রুত। ১৬ রানে মুশফিককেও নিজের শিকার বানান রশিদ। সাকিব পড়েন মঈন আলির ফাঁদে।
মাঝপথে ইনিংস বড় করার চেষ্টায় ব্যর্থ হন মাহমুদউল্লাহ। ৪৮ বলে ৩১ রান করে বিদায় নেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। মূল ব্যাটাররা ফেরার পর শেষ দিকে আফিফ হোসেন-মিরাজ ও তাসকিনদের ছোট ছোট রানে চড়ে টেনেটুনে ২০৯ রানের পুঁজি গড়ে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে আফিফ করেন ৯ রান। মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ৭ রান। তাসকিনের ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান।