মাশরাফীকে স্বাগত জানিয়ে রেখেছেন বিসিবি সভাপতি
পাকিস্তানের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত ঢাকা টেস্টে একসঙ্গে মাঠে বসে খেলা দেখেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। তখনই গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়, তাহলে কি নতুন পরিচয়ে দেখা যাবে নড়াইল এক্সপ্রেসকে। আর যদি ফিরেন, কোন পরিচয়ে আসবেন তিনি, তা নিয়েই ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে।
আজ শনিবার বিকেএসপিতে এক অনুষ্ঠানে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের কাছে মাশরাফী প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয়েছিল, বর্তমান সময়ে মাশরাফীকে কোনোভাবে কাজে লাগনো যায় কি না? এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘মাশরাফী যদি আসতে চায় আমরা তো চাইব তাকে নিতে। এখন পর্যন্ত ওরকম কোনো আলোচনা হয়নি। মাশরাফী তার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিল। আমি ওর খোঁজ নিয়েছিলাম। তামিমকেও সেখানে পেয়েছি। তামিম যে থাকবে এটা জানতাম না। তেমন কিছু নিয়ে আলাপ হয়নি।’
জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও এখনো টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেননি মাশরাফী। সাবেক এই অধিনায়ককে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর দেখা না যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। যদি ক্রিকেটে ফেরেন, কোন পরিচয়ে আসবেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, মাশরাফীকে মেন্টর হিসেবে নেওয়া হতে পারে।
২০০১ সালের ৮ নভেম্বর দেশের জার্সিতে টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে অভিষেক হয়েছিল মাশরাফীর। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে চার উইকেট নিয়ে বেশ নজর কেড়েছিলেন। একই মাসে লাল-সবুজের জার্সিতে পা রাখেন ওয়ানডে ক্রিকেটে। সে ম্যাচেও দারুণ বোলিংয়ে দলীয় সর্বোচ্চ উইকেট নেন।
সে ধারাবাহিকতায় অনেক সাফল্য পেলেও সাতটি অস্ত্রোপচারের মধ্যে জীবনের অনেক সোনালি সময় হারিয়ে ফেলেছেন মাশরাফী। ইনজুরি কেঁড়ে নিয়েছে ঘরের মাঠে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ। অবশ্য গত কয়েক বছর ছুরির নিচে যেতে হয়নি তাঁকে।
৩৬ টেস্ট, ২২০ ওয়ানডে ও ৫৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন মাশরাফী। আন্তর্জাতিক উইকেট ৩৯০টি এবং রান ২৯৫৫। ৮৮ ওয়ানডে ও ২৮টি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে অনেক সাফল্য এনে দিয়েছেন তিনি। ৫০টি ওয়ানডে জয় এসেছে তাঁর নেতৃত্বে এবং ১০টি টি-টোয়েন্টি জিতেছেন অধিনায়ক হিসেবে। টেস্ট ক্রিকেটে তিনি একটি ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সে ম্যাচটিতে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ক্রিকেটের পাশাপাশি বর্তমানে নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী।