মাহমুদউল্লাহর টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার শেষ?
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাননি সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনায় তাঁকে দলে নেওয়া হয়নি। বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই তারকার ভবিষ্যত কি তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে।
ক্রিকবাজের খবরে জানা গেছে, বিশ্বকাপের আগে আসন্ন ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে মাহমুদউল্লাহকে বিদায়ী ম্যাচ খেলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বোর্ড মনে করেছিল অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাঠে তাঁর টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার শেষ করার যোগ্য। তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহিম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যেম তাদের অবসর ঘোষণা দেন।
বিসিবির এক কর্মকর্তা ক্রিকবাজকে বলেন, ‘মাহমুদউল্লাহ রাজি হননি বিদায়ী ম্যাচ খেলতে। তিনি এখনই অবসর নিতে প্রস্তুত নন। জোর দিয়ে বলেছেন তিনি আরও দুই বছর খেলবেন, জাতীয় দলে ফিরে আসার চেষ্টা করবেন।’
এতে বোঝা যায় সাবেক অধিনায়ক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিক আগে বাদ পড়াটা আশা করেননি। জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। পরে তাঁকে আবার দলে নেওয়া হয়।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান দল ঘোষণার কিছু দিন আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ দলে থাকবেন না। তাই সাবেক অধিনায়কের বাদ পড়ায় খুব কমই বিস্ময়কর ছিল। টেকনিক্যাল ডিরেক্টর শ্রীধরন শ্রীরাম জোর দিয়েছেন পারফরমারদের চেয়ে প্রভাবশালী খেলোয়াড় বেশি দরকার।
ইনজুরির কারণে এশিয়া কাপ মিস করায় কাছ থেকে দেখার সুযোগ না থাকা সত্ত্বেও তরুণ ইয়াসির আলী রাব্বির ওপর নজর ভারতীয় এই কোচের।
এদিকে মাহমুদউল্লাহ আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে নিজেকে আবার প্রমাণ করতে পারলে জাতীয় দলে ফিরতেও পারেন। তবে ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমন্ট তরুণ ক্রিকেটারদের প্রাধান্য দিচ্ছে। তাই মাহমুদউল্লাহ আবার ফিরতে পারবেন কি না সেটাই দেখার।