মাহমুদউল্লাহর সাফল্য, বাংলাদেশ অধিনায়কের প্রশংসা
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ে ব্যাট হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দলকে এই সাফল্য এনে দিতে ৪১ রানের একটি হার না মানা ইনিংস খেলেন তিনি। যা দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেয়।
তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে মাহমুদউল্লাহর ফর্ম খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না। শেষ ১৯ ইনিংসের মধ্যে গতকালের ম্যাচের ৪১ রানই মাহমুদউল্লাহর সর্বোচ্চ। তাঁর এই সাফল্য দলকে যেমন অনুপ্রাণিত করেছে, তাঁর নিজের ক্যারিয়ারের জন্যও ভালো হয়েছে।
তাই অধিনায়ক তামিম ইকবাল প্রশংসায় ভাসালেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘রিয়াদ (মাহমুদুল্লাহ) ভাই অপরাজিত ৪১ রান করে কিছুটা ফর্ম খুঁজে পেয়েছেন। এটা সন্তোষজনক। তিনি নিচের অর্ডারে ব্যাট করে ২৫-৩০ রান করলেও তা দলের জন্য মূল্যবান হতে পারে। তবে যখনই একটি বা দুটি ম্যাচে ব্যর্থ হন আমরা পরিসংখ্যান নিয়ে আলোচনা শুরু করি। হয়তো দেখি ২৫, ২৮ বা ৩০ রান করেছেন তিনি। কিন্তু কিছু সময়ে সেই ২৫ বা ২৮ রান খুবই মূল্যবান।’
বাংলাদেশ অধিনায়ক আরও বলেন, ‘আপনি যদি দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজকে বিবেচনায় নেন, তার বড় ইনিংস খেলার সুযোগ ছিল না। আমি মনে করি এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে তাকে অন্যভাবে দেখা উচিত। কখনও কখনও সে এমন কাজ করে, যাতে প্রশংসা পায় না। আমরা যদি এই দিক গুলো নিয়ে একটু ভেবে দেখি তাহলে খেলোয়াড়ের ওপর চাপ কম হবে।’
ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪৯ রানে বেধে ফেলে বাংলাদেশ। জবাবে চার উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় লাল সবুজে দল। টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টিতে চরম ব্যর্থতার পর ওয়ানডেতে এই সাফল্য দলকে বেশ উজ্জীবিত করবে।
এই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো বোলারই পারেননি বাংলাদেশের জয়ে পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে। অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ দারুণ একটি ইনিংস খেলে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। তিনি ৬৯ বলে অপরাজিত ৪১ রান করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাজমুল হোসেন শান্তর, তিনি ৩৭ রান করেন ৪৬ বল খেলে। আর অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৩৩ রান করেন। শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহান অপারজিত ২০ রান করেন।