মুগ্ধতা ছড়িয়ে ম্যাচ বের করলেন মিরাজ
হেমন্তের শিশির ভেজা সন্ধ্যায় যখন বাঙালির হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছিল, তখন আশার প্রদীপ জ্বালালেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের যে কজনকে ঘিরে সম্ভাবনার বীজ বোনে সবাই, মিরাজ তাদের একজন। আস্থার প্রতিদান বেশ কয়বার দিয়েছেন।
তবে আজকের সন্ধ্যা মনে থাকবে বহুদিন। সূর্যের মৃদু আলোয় ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক লিটন দাস। বোলাররা প্রতিদান দিয়েছেন। সবটুকু ঢেলে ভারতকে মুঠোয় বন্দী করতে পেরেছেন। কিন্তু, ব্যাট হাতে বাংলাদেশ পুরোনো রূপে। শান্তকে দিয়ে শুরু। লিটন চেষ্টা করেছেন।
সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে একে একে নবম উইকেটের পতন। জয় থেকে তখনও ৫১ রান দূরে টাইগাররা। কেউ ভাবতে পারেনি ফিরে আসবে বাংলাদেশ। মিরাজ ভেবেছিলেন। শুরুতে রয়েসয়ে, পরে আগ্রাসী। ৩৯ বলে ৩৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন, গড়লেন মুস্তাফিজকে সঙ্গে নিয়ে রেকর্ড জুটি।
মিরাজের ইনিংসে চারের মার ছিল ৪টি, ছয় দুটি। একই ওভারে মারা জোড়া হয়, ফ্লিক করে মারা চার; মিরাজকে একবারের জন্যেও মনে হয়নি সে নার্ভাস। এমন সময়ে স্নায়ুর চাপ সামলাতে জানা ঘুরিয়ে দিতে পারে ম্যাচের মোড়। মিরাজ তা প্রমাণ করলেন আরেকবার।
বল হাতে ৯ ওভারে ১ মেডেন ও ১ উইকেট তুলে রান দিয়েছেন ৪৩। ব্যাট হাতে আজকের ইনিংসটাকে রানের অঙ্কে মাপাটা অন্যায় হবে। এইসব ম্যাচে বাংলাদেশের হার প্রায় নিশ্চিত থাকে। সেখান থেকে মিরাজ বের করলেন ম্যাচ, ছড়ালেন মুগ্ধতা।