মুশফিকের ইতিহাস গড়া ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ লিটন
মিস্টার ডিপেন্ডেবল, কেন মুশফিকের নামের পাশে এই উপাধি জুড়ে দেওয়া হয়েছে জানেন কি? কারণ তার ওপর ভরসা করা যায়। তিনি জানেন কী করে আস্থার প্রতিদান দিতে হয়। গত ১৫ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে বহুবার নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ রেখেছেন মুশফিক, গড়েছেন একের পর এক রেকর্ড।
মুশফিকের ব্যাট হাসলেই যেন হাসে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শেষমেষ তা হয়নি। কেননা মুশফিকের ব্যাট হাসলেও বেরসিক বৃষ্টি কেড়ে নিয়েছে রেকর্ডময় ম্যাচে জয়ের আনন্দ। ৬০ বলে অপরাজিত ১০০ রান করে সমালোচকদের জবাব দেওয়ার পাশাপাশি মুশফিক দেখিয়েছেন নিজের ব্যাটিং সামর্থ্য।
এত কম বলে শতক হাঁকিয়ে মুশফিক ছাড়িয়ে গেছেন সাকিবকেও। এখন বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম ওয়ানডে শতকের রেকর্ডটা নিজের করে নিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। আর মুশির এমন অনবদ্য পারফরম্যান্সে মুগ্ধ ওপেনার লিটন দাস।
গতকাল সোমবার (২০ মার্চ) ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক প্রসঙ্গে লিটন বলেন, ‘সিরিয়াসলি, এটি (মুশফিকের সেঞ্চুরি) অনেক ভালোলাগার মতো। আমি যতদিন ধরে খেলছি বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড়ই শেষের দিকে গিয়ে একশ করতে দেখিনি। যখন ম্যাচের শেষ মুহূর্তে দলের কেউ এমনভাবে একশ করে, তখন তা দেখতেই ভালো লাগে। সিনিয়র কেউ করলে ভালো লাগার মাত্রা আরও বেড়ে যায়।’
লিটন যোগ করেন, ‘কেবল মুশফিক ভাইয়ের আজকের ইনিংসটাই নয়, যদি তার সবশেষ ম্যাচের ইনিংসটাও দেখেন আমার কাছে সেটিও অসাধারণ লেগেছে। যদিও রানটা বেশি না, চল্লিশের মতো। তিনশ রানের বেশি করতে যেটা বড় ভূমিকা রেখেছে। আজকের ইনিংসটাও ভূমিকা রেখেছে আরও বড়।’
ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে হিসাব করলে ওয়ানডে ফরম্যাটে দীর্ঘ ২২ মাস পর আবার শতকের দেখা পেলেন মুশফিক। মিস্টার ডিপেন্ডেবল শেষ ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০২১ সালের ২৫ মে। মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১২৭ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ১২৫ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন। সেটি ছিল তার ক্যারিয়ারের আট নম্বর ওয়ানডে শতক। ১৭ ম্যাচ পর নবম সেঞ্চুরির দেখা দিল তার ব্যাটে, দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটল রাজকীয়ভাবে।