মুমিনুল হককে হারানোর হতাশা বাদ দিলে ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন দারুণ করেছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ১৫৯ রানের জুটিতে প্রথম দিনের হতাশা চাপ সামলায় স্বাগতিকরা। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই সাকিবকে হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। অধিনায়কের বিদায়ের পর মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের ব্যাটে চড়ে আয়ারল্যান্ডের রান টপকে লিড নিল বাংলাদেশ।

দুই ব্যাটার মিলে এরই মধ্যে আরেকটি জুটি গড়ে তুলেছেন। এর মধ্যে সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে গেছেন মুশফিক। ১৩৫ বলে ক্যারিয়ারের দশম টেস্ট সেঞ্চুরি স্পর্শ করেছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। তাঁর সঙ্গে থাকা লিটনও খেলছেন হাতখুলে। তাতে করে লিড বাড়ছে বাংলাদেশের।  

দিনের প্রথম সেশনে এক উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান তোলে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে এসে পায় লিডের দেখা। এই মুহূর্তে উইকেটে থিতু আছেন মুশফিক। তাঁর সঙ্গে ব্যাট করছেন লিটন দাস। 

ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনের একদম শেষ বেলায় তামিম ইকবাল আউট না হলে পুরো দিনটা নিজেদের করে নিতে পারত বাংলাদেশ। প্রথম দিনের শেষের মতো দ্বিতীয় দিনের শুরুটাও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। তবে সাকিব-মুশফিক মিলে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দিয়েছেন। বাংলাদেশের রানের চাপ সামলে ৮৭ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। ৯৪ বলে তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ১৪টি বাউন্ডারি দিয়ে। 

আজ বুধবার (৫ এপ্রিল) মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিন শেষে ১৮০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। দিনের শুরুটা চার মেরে করলেও নড়বড়ে ব্যাটিংয়ে মমিনুলের আউট হওয়ার শঙ্কা জেগেছিল। হয়েছেও তাই, দলীয় ৪০ রানে মার্ক অ্যাডাইরের বলে বোল্ড আউট হন মমিনুল। ৩৪ বল খেলে ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি এই বাঁহাতি ব্যাটার।

মমিনুলের বিদায়ে কিছুটা চাপে পড়লেও সাকিব-মুশফিকের দৃঢতায় খুব ভালোভাবেই শামাল দেওয়া গেছে সেই চাপ। এর মধ্যে ৪৫ বলে সাকিব পূরণ করেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩৫তম ফিফটি। সাকিবের পর ফিফটি পূরণ করেন আরেক ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। ৭২ বল থেকে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২৬তম ফিফটি।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) মিরপুরে আগে ব্যাট করে ২১৪ রানে গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। শেষ বিকেলে খেলতে নেম ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৪ রান তোলে বাংলাদেশ। দিনের শেষে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারে হারায় নাজমুল হোসেন শান্তকে আর শেষ বলে হারায় ওপেনার তামিম ইকবালকে।